আরিফুর রহমান, রাহাত হোসাইন : মাদারীপুরে শিক্ষক হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি ফাইজুল্লাহ ফাহিম রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে মাদারীপুর সদরে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে মাদারিপুরের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়াচর এলাকায় ক্ষেতের মধ্যে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা লাশটি ফাহিমের লাশ বলে চিহ্নিত করেন। পরে ফাহিমের লাশ মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাতে হ্যা-ক্যাপ পরানো এবং তার বুকের বামপাশে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানান।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সারওয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার রাতে আটক ফাহিমের দেয়া তথ্যে তাকে নিয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ফাহিম নিহত হন। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার মাদারীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে হাজির করে হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই বারিউল ইসলাম ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ফাহিমসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন সদর থানার এসআই আইয়ুব আলী।
তিনি জানান, ঘটনার সময় আটক ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। তারা হলেন- সালমান তাসকিন, শাহরিয়ার হাসান, জাহিন, রায়হান ও মেজবাহ।
সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ জানান, গ্রেফতার ফাহিমের কাছ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয় জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী কলেজগেট সংলগ্ন ভাড়া বাসার একটি ছোট কক্ষে একা থাকতেন। গত বুধবার দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে বাসায় ঢোকার সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ৩ যুবক তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শিক্ষকের চিৎকারে কলেজগেট এলাকার লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে ফাহিমকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।