আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন হিলি সাব জোনাল অফিসের আওতায় ৩৪ হাজার গ্রাহকের জন্য রয়েছেন মাত্র একজন ক্যাশিয়ার। ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি আর বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, হিলি পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল আওতায় পাশর্^বর্তী নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট থানার আংশিক এবং শতভাগ বিদ্যুতায়িত হাকিমপুর উপজেলায় মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩৪ হাজার ৯শ ৫১জন। আর এসব বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে রয়েছে মাত্র একজন ক্যাশিয়ার। ফলে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে ধৈয্য হারানো গ্রাহকদের সঙ্গে মাঝে-মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটছে। গ্রাহকদের বিড়ম্বনার এ বিষয়টি স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে জানালেও তারা কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিঃ, কৃষি ব্যাংক লিঃ, টেলিটক ও বিকাশের মাধ্যেও বিদুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিকাশের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করেও অনেক সময় ম্যাসেজ জটিলতার কারণে ঝামেলায় পড়তে হয়।
বোয়ালদাড় ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ইজিবাইক চালক আসমান আলী জানান, গত মাসের বিল গিতে লাইনে ভিড়ের কারণে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। এতে একদিকে সারা বেলা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অপরদিকে একই সঙ্গে দুটি বিল দিতে হচ্ছে। ফলে তার উপর অর্থনৈতিক চাপ পড়ছে।
মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের মোবারক আলী জানান, অনেক সময় বিল পরিশোধ করার পরও পরের মাসে ওই বিলটি সংযুক্ত করে দেয়া হয়। এতে অনেক গ্রাহককে সমস্যায় পড়তে হয়। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসের বিল পৃর্থক করে দিলে অল্প শিক্ষিক গ্রাহকদের বুঝতে সুবিধা হবে।
পৌরসভার রাউতারা গ্রামের লুৎফর রহমান (মহুরী) জানান, বিদুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে যদি একাধিক ক্যাশিয়ার দেয়া হয়। তবে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
পল্লী বিদ্যুৎ হিলি সাবজোনাল অফিসের এজিএম সাইদুর রহমান জানান, আমরা আরো একজন ক্যাশিয়ার নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অতিদ্রুত আরও একজন ক্যাশিয়ার পাবো। তাহলেও গ্রাহকদের ভোগান্তি কমে আসবে বলে আশা করি ।