মো.নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নিয়ামত নগর এম.ইউ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝাড়–দার পদ অবৈধভাবে শূন্য ঘোষণা করে হরিজন সম্প্রদায়ের পরিবর্তে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে এক মুসলিম ব্যক্তিকে নিয়োগের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মায়া রাণী বাসফোর এ অভিযোগ করেন।
মায়া রাণী বাসফোর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, ১৯৯৬ সালের ১৭ জুলাই সাদুল্যাপুর উপজেলার নিয়ামত নগর এম.ইউ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝাড়–দার পদে (ইনডেক্স- ২৯৯৩৭৪) যোগদান করে সুনামের সঙ্গে চাকরি করছিলেন।
কিন্তু গত ২০২১ সালের ফেব্রæয়ারি বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. খয়বর হোসেন সরকার বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কথা বলে একটি ক¤িপউটারে টাইপ করা কাগজে মায়া রাণী বাসফোরের স্বাক্ষর নেন।
তারপর থেকে অদ্যাবধি তার বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। পরবর্তীতে যোগাযোগ করলে মায়া রাণী বাসফোর চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান।
এরপর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান মিয়া ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান ঝাড়–দারের পদটি শূন্য দেখিয়ে সম্প্রতি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। গত ৭ অক্টোবর ঝাড়–দার পদটির লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়।
ওই ঝাড়–দার পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য গাইবান্ধা শহর সংলগ্ন তুলসীঘাট এলাকার এক মুসলিম ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে বলে,ভুক্তভোগী মায়া রাণী বাসফোর এ অভিযোগ করেন।
। সম্মেলনে আরো জানানো হয়, জন্ম তারিখ অনুযায়ী মায়া রাণী বাসফোরের এখনও চাকরির বয়স ১২ বছর আছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জগদিশ বাসফোর, রুমা বাসফোর, সোনামনি বাসফোর, যোগেস্বর বাসফোর, সোনারায় বাসফোর প্রমুখ।