মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ,বগুড়া প্রতিনিধি: মহাস্থান বগুড়া থেকে আজিজুল হক বিপুলঃ শীতের আগমন হালকা উপভোগ করলেও সবজিতে ভরপুর বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানের প্রসিদ্ধ সবজির হাট।
শীতের শুরুতে আগাম সবজির দাম চড়া হলেও চলতি সপ্তাহে তা কমতে শুরুকরেছে। এনিয়ে অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তারা। উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত মহাস্থানের সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রখাজধানী ঢাকাসহ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এহাটের সবজি প্রতিদিনি অর্ধশত ট্রাক যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। শীতের আগাম জাতের সবজি চাষে ভালো দাম মিলছে। এ অঞ্চলের চাষীরা সবজি চাষে ঝুকে পড়েন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এবার টানা বর্ষার কারণে শীতের আগাম ফসল বাজার জাত করতে অনেকে হিমশিম খেয়েছেন।
যেকারণে এবার শীতের মৌসুমি সবজি এক জোয়ারে উঠেছে। এজন্য আমদানী বাড়ার সাথে সাথে দাম অনেকটা কমে এসেছে বলে চাষীরা জানান। বগুড়ার সদরের লাহিড়ীপাড়ার চাষি আমজাদ হোসেন জানান, বর্ষা শুরুতে একই জমিতে তিন বার সবজি চাষ করেছি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সব ফসলের গোড়ায় পানি জমে পঁচন ধরে নষ্ট হয়েছে। শীতের শুরুতে আবারও সবজি চাষ করে বাজারে নিয়ে এসেছি। গড়-মহাস্থান গ্রামের ইউপি সদস্য সবজি চাষি আলাউদ্দিন জানান, প্রতি বছরে শীতের আগাম সবজি আমি আগে হাটে তুলি। কিন্তু এবার বিরুপ আবহাওয়ার কারনে থমকে গেছি। এবার আমাদের এলাকায় সবাই এক সাথে সবজি চাষ করার কারনে বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি। ১ সপ্তাহর ব্যবধানে দাম প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। মহাস্থান হাটের পাইকার লিয়াকত আলী জানান, প্রতিদিন প্রায় ১ট্রাক করে সবজি মহাস্থান হাট থেকে তিনি কিনেন। আগাম জাতের সবজি আসার শুরুতে দাম ছিল অনেক বেশি। এখন সবজির আদমানি বেশি, দাম স্বাভাবিক এজন্য পুঁজি লাগছে কম। এ হাট থেকে অনেক পাইকার সবজি কিনে তারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করার পাশাপাশি খুচরা বিক্রি করে থাকেন। বগুড়ার মহাস্থান হাটের সবজি প্রতিদিন ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ, ফেনি, সিলেট অঞ্চলের বাজারে যাচ্ছে। গতকাল বরিবার সকালে মহাস্থান হাটে গিয়ে দেখা যায়, শতশত নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা বস্তায় ভরাচ্ছেন সবজি। সেগুলো আবার ট্রাকে তুলছে শ্রমিকেরা। মহাস্থানের পাইকার রেজাউল ইসলাম জানান, দাগওয়ালা বা সাইজে ছোট ফুলকপি অনেকেই নিতে চায় না। এজন্য বাছাই করে কাগজে মুড়িয়ে ঢোপ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে অন্য জেলার জন্য অত বাছাই করতে হয় না। এখন তারা ফুলকপি, পাতাকপি, মুলা এবং লাউ বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন। মহাস্থান পাইকারী কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০ দিন আগে যে ফুলকপির দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। এখন প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, বাধাঁকপি ১৫-১৮টাকা, মুলা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, প্রতি কেজি বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, লাউ ১৫ থেকে ২০ টাকা, ঢেঁড়শ ২৫ টাকা, পটল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা, পালংশাক ১০টাকা, ধনেশাক ৩৫ টাকা কেজি। আলু প্রতি কেজি ৪০-৪৫। প্রসাশনের সু-দ্রষ্টি না থাকায়, মহাস্থান ও আশেপাশে আলু উৎপাদন হয় সেই আলু বাংলাদেশসহ বিদেশে রপ্তানি করা হয় আজ মহাস্থান ও তার আশেপাশে বাজার গুলোতে ঢাকার চেয়েও আলু অনেক বেশী দামে আলু বিক্রয় হচ্ছে প্রশাসন নিরব। বুধবার ও শনিবার হাট বার হলেও প্রতিদিনিই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ বেচাকেনা।