নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা ভ্যাকসিন ক্রয় ও সংরক্ষণ বাবদ মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা সংস্থান রাখার প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় এ প্রস্তাব করা হলেও ভ্যাকসিনের সংখ্যা ও এককমূল্য উল্লেখিত ছিল না।
এদিকে ভ্যাকসিন কেনা বাবদ ব্যয় যৌক্তিক নয় বলে মনে করছে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ভ্যাকসিন বাবদ ব্যয় কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ।
কোন দেশ থেকে কী উপায়ে কতদিনের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তা কোন নিয়ম অনুসরণ করে প্রদান করা হবে, সে বিষয়ে একটি সমন্বিত ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (আরডিপিপি) সংযুক্ত করা জরুরি বলে মনে করে কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছে, আসছে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি-ডিসেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে কোভ্যাক্স কর্তৃক নির্ধারিত কোন দেশ থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে তা এখনো জানা যায়নি।
ভ্যাকসিন কেনা ও সরবরাহে মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার প্রস্তাব করার যৌক্তিকতা জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
সূত্র জানায়, ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমোদিত নীতিমালা সর্বসাধারণের বোধগম্যভাবে সারসংক্ষেপ আকারে প্রণয়ন এবং ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার একটি সহজবোধ্য ফ্লো-চার্ট ডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিটা উপজেলায় ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে প্রচারের জন্য ব্যানার, মাইকিং ও প্রকাশনা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য একটি করে মোট দুটি মোবাইল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ভ্যানের সংস্থান রাখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্বৈততা পরিহারপূর্বক গঠিত ১০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং ১০টি জেলায় মেডিকেল বর্জ্য ব্যাবস্থপনা প্ল্যান্ট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ এক গণমাধ্যমকে বলেন, ভ্যাকসিন ও সরবরাহ বাবদ ৪ হাজার ৩১৪ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আমরা ব্যয়ের যৌক্তিকতা জানতে চেয়েছি। ভ্যাকসিন কেনা একেবারেই নতুন একটা উদ্যোগ। কিসের ভিত্তিতে কোন গ্রাউন্ডে ব্যয় চাওয়া হলো এটা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি যৌক্তিক গ্রাউন্ড দেখাতে পারে দরকার হয় বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে এখনও সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। ভ্যাকসিনের দাম কেমন হবে এটাও জানি না। আমরা আন্দাজের ওপর প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারি না। প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কিছু নোট দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সমাধান হলেই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।