মো.নজরুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় মোহাম্মদ আলী (৬৫) নামের এক কষ্টি পাথর ব্যবসায়ীকে ছুড়িকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আলী কষ্টি পাথরের ব্যবসা করেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ওইদিন তার স্ত্রী ঘরে ছিলেন। বাড়ির লোকজন রাত দেড়টার দিকে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পান। কিন্তু সবার ঘরের দরজার বাইর থেকে বন্ধ করে রাখায় কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। এদিকে দূবৃর্ত্তরা মোহাম্মদ আলীকে ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে বাঁধা দিলে তারা মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগমকেও মারধর করে। পরে বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মোহাম্মদ আলীকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে লাশ রাখা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানায় ফেরার সময় রাত চারটার দিকে কালির বাজার এলাকায় তিনজনকে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করতে দেখে। পরে নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বর্ণনা মতে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুড়ি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আটককৃতদের পরিচয় জানায়নি। তবে তাদের একজনের বাড়ি সুন্দরগঞ্জে, একজনের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় ও একজন স্থানীয় বলে জানা গেছে।
নিহতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানান, ঘটনার সময় আমি ঘরে ছিলাম। দূবৃর্ত্তরা রাত ১২টার দিকে ঘরে ঢোকেন। তারা প্রথমে কষ্টি পাথরের ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেন। ঘন্টাঘানেক আলোচনার পর আমার স্বামীর সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার স্বামীর মুখে ও পেটে ছুড়িকাঘাত করে। আমি বাধা দিলে তারা আমার মুখ চেপে ধরে মারধর করে। তিনজনই যুবক। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
ফুলছড়ি থানার ওসি মো. কাওছার আলী জানান, তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের পরিচয় বলা যাচ্ছে না। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে শীঘ্রই হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।