জয়যাত্রা ডেস্ক :
কাতারে গত এক দশকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে বাংলাদেশের ১ হাজার ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের পেছনে শ্রম দিতে গিয়ে গত এক দশকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।
২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয় কাতার। এর পরপরই অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিশ্বকাপের জন্য নতুন সাতটি স্টেডিয়ামসহ কয়েক ডজন বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা। ইতোমধ্যেই এর বেশ কয়েকটির কাজ শেষ, বাকিগুলোর কাজও এগিয়ে চলেছে পুরোদমে। আর এই কাজ করছেন মূলত দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকরা।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার কাতারস্থ দূতাবাস ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের ২,৭১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় বাংলাদেশের ১,০১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন কাতারে। এই দশ বছরে নেপালের ১,৬৪১, পাকিস্তানের ৮২৪ ও শ্রীলঙ্কার ৫৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কাতারে।
উল্লেখ্য, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কেনিয়া ও ফিলিপাইনের অভিবাসী শ্রমিকদের পরিসংখ্যান ওই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়নি।