নিজস্ব প্রতিবেদক:কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) একটি রাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়। সিপিডি একটি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে। সিপিডির সঙ্গে যারা কাজ করেন তারা অনেকটাই তাদের অংশীদার। কাজেই সেই লক্ষ্য নিয়ে সিপিডি এ গবেষণা কার্যক্রমটি চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন,এর মূল্য এদেশে সিপিডিকে দিতে হবে। সোমবার সচিবালয়ে কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির অগ্রগতিবিষয়ক সভার শুরুতে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে রোববার জরিপের ফল উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সিপিডি ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) যৌথ জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের অগ্রগতি হয়নি। এটি হয়তো স্থবির ছিল অথবা আগের তুলনায় আরও খারাপ হয়েছে। এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে দুর্নীতিকে।
গত বছর এই দুর্নীতিই ছিল ব্যবসায় উন্নতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। শুধু তাই নয়, ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে চ্যালেঞ্জ, দুর্বল আমলাতন্ত্র ও মূল্যস্ফীতিও ছিল ব্যবসার জন্য বাধা।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি উধাও হয়ে গেছে, এখন দুধের মতো স্বচ্ছ-এটা আমরা কোনো দিনই দাবি করি না। উন্নয়নশীল দেশে কমবেশি দুর্নীতি হবেই। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য এখনও অনেক বেশি। দুর্নীতি পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আমেরিকার মতো দেশে দুর্নীতি আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কমবেশি দুর্নীতি আছে। কিন্তু আমরা যে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছি, এটিকে আপনারা কীভাবে দেখবেন? এটা কী করে হলো, এটা কী কোন জাদু বলে! এটা কি আমরা বানিয়ে দিয়েছি! এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মাল্টিল্যাটারাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার এবং ডোনাররাই তো এটি বলছে। তারাই তো মূল্যায়ন করছে। কাজেই সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এ ধরনের অনেক স্টাডি তারা করে। এটা কী মেথোডলজি ছিল,কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছে সেটি আমাদের দেখতে হবে, আমাদের সামনে সেটি দেখাতে হবে। তাহলেই মনে করবো এটি সঠিক কি না। তারা কোনো ধোয়াতুলশী পাতাও নয়, নিরপেক্ষও নয়। সিপিডি অবশ্যই রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। জনগণ কাউকে ক্ষমা করে না।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, সিপিডি তো অধ্যাপক ইউনূসকে নিয়েও মাঠে নেমেছিল। দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষ এত সচেতন, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।