মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বহুল আলোচিত একতারা প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ তুলে আদালতের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়নি, ফলাফল পা্ল্েট দেয়া হয়েছে। আমি এ ফলাফল মানি না। আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। শীঘ্রই ফল বাতিল চেয়ে আদালতে রিট করা হবে।’
হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভাল ছিল। কিন্তু নন্দীগ্রামে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হলো তখনই তাদের কাজে সন্দেহ লেগেছে। কারণ তারা নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ধাপে ধাপে ৩৯টি কেন্দ্রের ফল আলাদা ঘোষণা করেন।
কিন্তু বাকি ১০টি কেন্দ্রের ফলাফল আলাদাভাবে ঘোষণা না করে এক সাথে ১০ কেন্দ্রর ফলাফল ঘোষণা করেন। এই দশ কেন্দ্রের ফলাফল আলাদা আলাদা করে ঘোষণা না করে একসাথে কেন করা হলো? এখানেই কারচুপি করা হয়েছে। এমনকি আমাদের এজেন্টদের কাছেও ফলাফলের কোন কপি দেয়া হয়নি।
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আজকে সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল হিরো আলমের দিকে। আমার গর্বে বুক ভরে গেছে। আমার মনে হয়েছে আমি প্রধানমন্ত্রীর ভোট করলাম। আমি সবার যে ভালবাসা পেয়েছি তা কখনও ভুলবো না। আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে।
কিছু শিক্ষিত মানুষ চায়নি হিরো আলম এমপি হোক। কারণ আমি জিতলে মনে হয় সরকার এবং তাদের সম্মান চলে যাবে। এমনকি হিরো আলমের মতো মূর্খকে তাদের স্যার বলে ডাকতে হবে । এই ভয়েই আমাকে তারা ভোটে পাশ করতে দেয়নি।’
২০২৪ সালের জাতীয় সাধারন নির্বাচন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘উপনির্বাচনের মত পরিবেশ থাকলে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকবে না। আমি চাই ভোট সুষ্ঠু হোক। যাতে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতাতে পারে।
এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা একেএম রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের একতারা প্রতীকে পড়েছে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। বুধবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম ওই আসনের মোট ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে মোট ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ওই আসনে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোট দিয়েছেন যা শতকরা হার ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।