গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা।
গাইবান্ধা জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জের কাটা নামক স্থানে রংপুর চিনিকলের বাণিজ্যিক খামারের জমিতে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটির জিম্মাদার মাওলানা মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ১৬ ফেব্রæয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য পৃথক, পৃথকভাবে অবস্থানের যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এই তিনদিন তারা স্বাচ্ছন্দে রান্না ও থাকতে পারবেন। ইজতেমায় আগতদের জন্য রয়েছে টয়লেট, অজুখানাসহ নামাজের জন্য স্থান নির্ধারিত রয়েছে। তিনি বলেন, কমপক্ষে ১০ লক্ষাধিক মুসল্লির এতে অংশ নিবেন বলে আশা করছেন।
সাঘাটা থেকে ইজতেমায় অংশ নিতে আসা আব্দুর রহমান বলেন, আয়োজক কমিটির আয়োজন অত্যন্ত সুন্দর। পরকালের নাজাতের আশায় সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য ইজতেমায় এসেছি।
ইজতেমা সুষ্ঠু ও নিরাপদসহ সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য গতকাল বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন পরির্দন করেন।
এছাড়া গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, পৌরসভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এমএ মোতিন মোল্লাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের খোঁজ খবর নেন।
জেলা ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, ইজতেমায় আগত সকল মুসল্লির নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এজন্য আজ বুধবার থেকেই ইজতেমার ময়দানে পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে। আখেরী মোনাজাত পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে।