নিজস্ব প্রতিবেদক : চতুর্থ বিপিএল শিরোপা বুঝে নিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ১৭৬ রান। আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্স থেমেছে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানে। এইদিন ব্যাট হাতে একত্রে জ্বলে ওঠেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ৪৫ বলে ৬৪ রান করে আউট হলেও ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। বিপরীতে একাধিক ক্যাচ মিসের মাসুল দিয়েছে কুমিল্লা।
বৃহস্পতিবার ফাইনালে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তানভীর ইসলামের তোপের মুখে পড়ে সিলেট। নিজের প্রথম ওভারেই তানভীর ০ রানে ফেরান আসরের অন্যতম সেরা ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়কে। পরের ওভারেই ১ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন মাশরাফী। ফলে মাত্র ২৬ রানেই ২ উইকেট হারায় তারা। চিন্তার ভাঁজ দেখা দেয় সিলেটবাসীর কপালে।
তবে বড় মঞ্চ পেয়ে জ্বলে উঠলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তুলে নেন চলতি বিপিএলের চতুর্থ অর্ধশতক। এর আগেই অবশ্য প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে এক আসরে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সেই সাথে মুশফিককে সাথে নিয়ে গড়ে দিয়ে যান বড় সংগ্রহের ভিত্তি। দুজনের ৫৬ বলে ৭৮ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখতে থাকে সিলেট।
শান্ত ৬৪ রান করে ফিরলেও নিজের কাজটা চালিয়ে যেতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। ৩৫ বলে তুলে নেন এবারের বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক। তবে অপরপ্রান্তে চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল। ১১ বলে ১৩ রান করে ফিরেন রায়ান বার্ল, জ্বলে উঠতে পারেননি থিসারা পেরেরাও; গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন তিনি। পরপর দুই বলে দুইবার জীবন পেয়েও ব্যর্থ হন জর্জে লিন্ডে, ৬ বলে ৯ রান আসে তার ব্যাটে।
শেষ ওভারে মইন আলির দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন জাকির হাসান। তবে মুশফিকুর রহিমকে আউট করতে পারেননি কেউ, ৪৭ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সেই সাথে তার দল সিলেট থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানে। ৩১ রানে ২ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম, সুনিল নারিন, মইন আলি ও আন্দ্রে রাসেল।