নিজস্ব প্রতিবেদক : গুয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে নারীদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ কিছু চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ অতীতেও বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশকে জলবায়ু সহিষ্ণু করতে এর আগে অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চল ও সবুজ বেষ্টনী জলবায়ু সহিষ্ণু আবাসন নির্মাণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ‘ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে। তবে তিনি জলবায়ু প্রতিশ্রুতি নিয়ে ধনী দেশগুলোর কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলো শুধু প্রতিশ্রুতিই দিচ্ছে, কিন্তু তারা সেগুলো পালন করছে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এসডিজি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ভাগ্যবান যে, এমডিজি ও এসডিজি প্রণয়নের সময় যোগান দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
শিশু শিক্ষা নিশ্চিত করতে তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, তার সরকার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, বৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ এবং স্কুল ফিডিং ব্যবস্থা চালু করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর পদ সৃষ্টি করে নারীদের রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আমলের আইন সংশোধন করে বিচার বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগে নারীদের নিয়োগের পথ তৈরি করেছিলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা যদি নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে মেয়েরা শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে এবং অভিভাবকরাও তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত হবে।’
বাংলাদেশে শিশুশ্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক খাতে কোনো শিশুশ্রম নেই।
প্রধানমন্ত্রী একটি মানুষকেও জমি ও গৃহহীন না রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সরকার প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীনকে বিনামূল্যে বাড়ি দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।