নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং উন্নত বিশ্বের প্রতিশ্রুত অর্থের বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে বাংলাদেশ এবার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন এলডিসিতে যোগ দিচ্ছে।
সম্ভাবনা ও উন্নতির এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রোববার থেকে কাতারের দোহায় শুরু হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন। এতে যোগ দিচ্ছে ৪৬টি স্বল্পোন্নতসহ প্রায় একশ’ দেশ।
কাতারের এবারের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন হচ্ছে দশ বছর পর। দশ বছরে এমন চারটি জাতিসংঘের সম্মেলন হয়েছে। প্রথম দুটি প্যারিসে ছিলো ১৯৮১ এবং ১৯৯১ সালে।
তৃতীয় এলডিসি সম্মেলন বসেছিলো ২০০১ সালে ব্রাসেলসে। আর তুরস্কের ইস্তানবুলে ২০১১ সালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চতুর্থ জাতিসংঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) বিষয়ে পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলন রোববার থেকে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগে কখনো দ্বি-পাক্ষিক আবার কখনো বহুপাক্ষিক অবস্থান থেকে উন্নত বিশ্ব এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে আশ্বাস দিয়েছে আর্থিক সহায়তা দেবার।
কিন্তু দারিদ্র দূরীকরণ অথবা জলবায়ু পরিবর্তন- কোনটি মোকাবেলাতেই টাকা দেয়নি কেউ। এবার জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশসহ দেশগুলোর জোর দাবি টাকা আদায়ের।
এবারের সম্মেলনে প্রতিটি এলডিসি ভুক্ত দেশই মনে করে প্রতিশ্রুতির অর্থ এখনই দেয়া উচিত। তা নাহলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যতোটুকু উন্নতি করেছে তাও ধরে রাখতে পারবে না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরইমধ্যে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবকে দ্রুত বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধের কারণে যারা বেশি লাভবান হচ্ছে, তাদের উচিত, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা। যুদ্ধের কারণে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম এখন নাগালের বাইরে।
সাধারণত প্রতি ১০ বছরে বিশ্বের ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সাল থেকে পরপর দু’বার এই সম্মেলন পেছানো হয়।