শামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারনার অভিযোগে নারীসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
আজ রবিবার সকালে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, জেলার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মোঃ আপেল মাহমুদ(৩০) এর সাথে গোবিন্দগঞ্জের মোঃ রুবেল শেখ ও মোঃ জুয়েল আকন্দের (২০) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১৫ দিন আগে পরিচয়ের পর পরস্পরের মাঝে সু-সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে রুবেল ও জুয়েল গত ০৩/০৩/২০ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আপেলকে ডেকে নিয়ে আসে।
এরপর আপেলকে সাথে নিয়ে রুবেল ও জুয়েল বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর একপর্যায়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার চারমাথা মোড়েরর নূর জাহান আবাসিক হোটেলে ২০৯ নং রুমে আপেলকে আটক করে রাখে। সেখানে রুবেল ও জুয়েল প্রতারনা মূলকভাবে তার নগ্ন ছবি ও অশ্লীল ভিডিও তৈরি করার হুমকি প্রদর্শন করে এবং নগদ ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। উক্ত টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য আফেলকে দিয়ে তার পরিবারের লোকজনদের উপর চাপ প্রয়োাগ করে।
তারপর টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আপেলকে মারপিট করে এবং নগদ ১৮,০০০/- টাকা ও একটি রেডমি নোট২৫ মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। আপেলের পরিবারের লোকজন গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের শরনাপন্ন হলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মোঃ কামাল হোসেন পুলিশ সুপার সার্বিক দিক নির্দেশনায় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আপেল মাহমুদকে নূরজাহান আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করে এবং রুবেল ও জুয়েলকে গ্রেফতার করেন।
অপর দিকে জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি দক্ষিণ কুঠির গ্রামের মোঃ এনছার আলী ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম(৩১) এর সাথে প্রয় ১০ দিন পূর্বে গোবিন্দগঞ্জের মোছাঃ মেহনাজ আক্তার সাথীর “ইম্যু”র মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে নুরুল ইসলামের সাথে মোছাঃ মেহনাজ আক্তার সাথীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
সেই সুবাদে মেহনাজ আক্তার সাথী নুরুল ইসলামকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে প্রতারনামুলকভাবে গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকার ডেকে নিয়ে কৌশলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়াঘুড়ি করে তার ভাড়া বাসার নিকট নিয়ে আসে এবং সেখানে আসামী মোছাঃ মেহনাজ আক্তার সাথী তার স্বামী মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ ও তার সহযোগী মোঃ ফাহিমের সহযোগিতায় নুরুল ইসলামকে জিম্মি করে তার নিকটে থাকা ১,৫০০/-টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের লোকজনদের কাছে ২লক্ষ টাকা দাবি করে। অতঃপর নুরুল ইসলামের পরিবারের লোকজন গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের শরনাপন্ন হলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার, মোঃ কামাল হোসেনের নির্দেশে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার জঙ্গলমারা মৌজাস্থ ডায়াাবেটিস হাসপাতালের পিছনে মেহনাজ আক্তার সাথীর ভাড়া বাসা থেকে মোঃ নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে এবং আরিফুর ইসলাম ও ফাহিমকে গ্রেফতার করে।
উপরোক্ত বিষয়ে গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন গাইবান্ধাবাসী এবং দেশের সকল নাগরিকদের এ সকল প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকার আহবান জানান।