নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোক্তা অধিকার থাকতে পারে, কয়েক বছর আগেও বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। নৈরাজ্যের বাজারে তাদের অধিকার সংরক্ষণে আইন হলো। সেই আইনের আলোকে ২০০৯ সালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও হলো। মাঝখানে চলে গেছে ১৪ বছর।
ভোক্তা কী পেল এই ১৪ বছরে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দিকে নজর দেওয়া যাক। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গঠিত এই অধিদপ্তর কার্যত দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য কাজ করতে ব্যর্থ।
১০৮ জন কর্মকর্তা দিয়ে সমগ্র দেশে অভিযান পরিচালনা করার বাস্তবসম্মত কোনো সুযোগও নেই। এর মধ্যে ঢাকায় আড়াই কোটি মানুষের জন্য কর্মকর্তা রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। সবার প্রশ্ন কীভাবে সম্ভব এই জলবল দিয়ে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করা।
আজ জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবস। দিবসটি সামনে রেখে ১৪ বছরের কর্মকাণ্ডের প্রতি নজর দিলে হতাশার চিত্রই দেখতে পাওয়া যায়।
এই হতাশা থেকে মানুষকে রক্ষায় একটি নতুন খবর দিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি জানিয়েছেন, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় আইনটি অনুপযোগী। ফলে সময়োপযোগী করার প্রস্তাব করা হয়েছে সরকারের কাছে।
কয়েকজন ভোক্তার বাস্তব অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর আদৌ কতটুকু করতে পারছে; কিংবা কেন পারছে না। পণ্যের যথাযথ মূল্য নিশ্চিত করা, ভেজাল পণ্য প্রতিরোধ, ওজনে কারচুপি ঠেকানো এবং
বাজার অব্যবস্থাপনা রোধের লক্ষ্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হলেও এই প্রতিষ্ঠানের কাজে সুফল থেকে দেশের মানুষ বঞ্চিত।
সম্প্রতি হাতিরঝিলের একটি কনফেকশনারি থেকে এক বোতল পানি কেনেন রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা মো. সিয়াম। বোতলের গায়ে ১৫ টাকা মূল্য লেখা থাকলেও দোকানি ২০ টাকা রাখেন। এর কারণ জানতে চাইলে দোকানি বলেন-এই দামে এখানে সব স্যারেরা কিনে নেন।
কখনো কিছু বলেন না। আপনি আবার আসলেন কোথা থেকে? তখন সিয়াম সাহেব জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ফোন করেন।
তার পরিচয় দেন। বিস্তারিত বিষয়টি জানালে মহাপরিচালক তাকে অধিদপ্তরে এসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সায়েম সাহেব তার এনআইডি নম্বর, নিজের পেশাগত পরিচয় দিয়ে অভিযোগটি গ্রহণের অনুরোধ জানালেও ভোক্তার ডিজি পরে আর কোনো পদক্ষেপ নেননি।
কাওরান বাজারে কথা হয় জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ঘরে থেকে বের হলেই পদে পদে প্রতারণার ফাঁদ। এমনকি জীবনরক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল মিলছে। চিকিৎসাসেবা পেতে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া লাগামহীনভাবে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি, পরিবহণ খরচ, পানি-বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের বাড়তি বিল গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে অসাধু