মো.নজরুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালী, অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ, আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।
সাদুল্যাপুর জয়েনপুর আদর্শ কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক শহিদুল্লাহিল ফারুক, সাংগাঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব, যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল খালেক, মোখলেছুর রহমান প্রধান, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি স্মৃতি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে সার নিতে গিয়ে গাইবান্ধার দু’জন কৃষক সহ সারাদেশে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও সারের কোন সংকট নেই। যে কারণে বর্তমান সময়ে বাম্পার ফসল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ করতে গিয়ে ৭৫’এর ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতাকে জীবন দিতে হয়েছে।
তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার আহবান জানান।
গাইবান্ধায় নারী মুক্তি কেন্দ্রের সমাবেশ
মো.নজরুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ক্ষেত-খামারে, হোটেলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্য দূর করার দাবিতে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে দারিয়াপুর চৌমাথায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ মার্কসবাদী জেলা আহবায়ক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদ, কৃষক নেতা মাহবুবুর রহমান খোকা, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহেলা সিদ্দিকা, কলি রানী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশ আজ ভয়াবহ সংকট অতিক্রম করছে, দফায় মূল্যবৃদ্ধি যা ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। সারা বছর কোন কাজ নেই, বেকারত্ব, দারিদ্রতা নিত্য সঙ্গী। ফলে কোন মানুষের আজ একার পক্ষে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব না।
তাই নারীরা আজ সমাজের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখছে। নারীরা যথাযথ ভুমিকা রাখলেও তারা শোষন-বৈষম্যের শিকার।
তারা আরও বলেন, দেশের কৃষি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ইট ভাটা, হোটেলসহ বিভিন্ন জায়গায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কাজ করে থাকেন।
কিন্তু সেখানে দেখা যায় যে পুরুষরা যেমন পারিশ্রমিক পান নারীরা তা পাননা, নারীরা সমকাজ করলেও সমমজুরি পাননা তাদেরকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়।
এর মূল কারণ পশ্চাদপদ চিন্তা এবং নারীর প্রতি অবহেলা। এটা সমাজের জন্য কল্যাণকর নয়। তাই নারী পুরুষের পারিশ্রমিকে যে বৈষম্য তা দূর করার দাবি জানান।