নিজস্ব প্রতিবেদক : করেছে সেই হত্যাকারীদের বিচার আমি কোনো দিন চাইতে পারিনি। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে মামলা করতে পারিনি। ক্ষমতায় এসে যখন মামলা করলাম, যেদিন রায় দেবেন সেদিন হরতাল ডেকেছে বিএনপি। যাতে জজ সাহেব কোর্টে গিয়ে রায় দিতে না পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষমতায় ছিল আবার আমার বাবা-মা ও ভাইদের হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী। তারপরও দেশের স্বার্থে, দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে আমি কিন্তু তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তারা… বলতে গেলে। সিট বিক্রি করা…। একেকটা সিটের পেছনে দুজন-তিনজনকে নমিনেশন। একজনকে লন্ডন থেকে পাঠায়, আর ঢাকা থেকে কেউ দেয়। এভাবে একেক সিটে দুই-তিন করে ক্যান্ডিডেট। তারা দেখল ইলেকশন করার আর অবস্থা নেই, তখন তারা এক সময় ইলেকশন থেকে ইউথড্র করে চলে যায়। ইলেকশনটাকে তারা কন্ট্রোভার্সিয়াল করার চেষ্টা করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা বিএনপিই নষ্ট করে দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়া নিজেই বলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেই নেই। সেখানে তারা কীভাবে এই দাবি করেন? সেটাই হলো বড় প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় একটা প্রশ্ন হলো…। তাদের সঙ্গে ডায়লগ, আমি ডায়লগ কীভাবে করব? ঠিক আছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরও কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি জানি, সে বিচারও কিন্তু তারা করেনি। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেছে, লাশ এসেছে। আমি কিন্তু প্রাইম মিনিস্টার। তবুও গেলাম সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে। আমি যখন রওনা হয়েছি তখন জানানো হলো ওই বাড়িতে (খালেদা জিয়ার বাড়ি) ঢুকতে দেবে না। মেইন গেট বন্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আমি তখন বললাম, এসেই যখন পড়েছি মেইন গেট না হয় না খুলল যেটা পকেট গেট আছে সেখান দিয়েই যাব। আমাকে এসএসএফ নিতে আসছে। যেই গাড়ি থেকে নামব, পেছন থেকে দরজাটা বন্ধ করে দিল। আমাকে ঢুকতে দিল না। আমাকে না ঢুকতে দিয়ে চরম অপমান করা হলো। আপনারা বলেন, এরপর কার সঙ্গে ডায়লগ করব আমি?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একে তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারপর আবার বাবা-মা, ভাই-বোনদের খুনি, যুদ্ধাপরাধী। তারপরও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের জনগণকে রক্ষার জন্য কিন্তু অনেক উদারতা দেখিয়েছি। তবে এখন আর তাদের সঙ্গে কথা বলার কিছু নেই। কারণ তাদের যে অপরাধ। আমার ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার পর। সেসব মানুষ মারা গেছে, তাদের পরিবারগুলো যে কষ্ট পাচ্ছে। যারা পুড়েও বেঁচে আছে, তাদের সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। যে অবস্থায় তারা আছে তা কেউ দেখলে…। পোড়া মানুষগুলোর কষ্ট দেখলে আর ওদের (বিএনপির) সঙ্গে বসতে ইচ্ছে হয় না। মনে হয়, ওদের সঙ্গে বসলে আমি পোড়া মানুষগুলোর গন্ধ পাই।’