এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন আ, লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পনু নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া গ্রামের আব্দুল সত্তার আকনের ছেলে আসাদুজ্জামান আকাইদ ওরফে ঠান্ডা (৩৫) , হাবিব আকনের ছেলে হাসিবুল হাসান (২২), মুজফফার মৃধার ছেলে মুজিবুর রহমান, কদমতলা গ্রামের খবিরের ছেলে জাহিদ , ঢলুয়া ইউনিয়নের ঢলুয়া গ্রামের হোসেন হাং এর ছেলে সজীব (২৩), এবং নিহত পনু মেম্বারের স্ত্রী ছবি বেগম ।
আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে রেফার করা হয়।মঙ্গলবার (২ মে) আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে পাকুরগাছিয়া এলাকায় আসাদুজ্জামান আকাইদ ওরফে ঠান্ডা এবং নিহত পনু মেম্বারের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত সফিকুল ইসলাম পনু মেম্বারের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় ।
পনু মেম্বারের স্ত্রী ছবি বেগম প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচনী পূর্ব শত্রুতার জেরে আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোতাহার হোসেনের ইন্ধনে আকাইদ ওরফে ঠান্ডা শতাধিক লোক নিয়ে আমার স্বামীর উপর হামলা করে।
আমাকে মারধর করে। আমার ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে। আমার স্বামীকে ওরা কুপিয়ে হত্যা করে। আমার ছেলেকে মারধর করে। তাকে এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, আমার একটি মেয়ে বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
পনু মেম্বারের চাচাতো ভাই আসাদুজ্জামান বলেন ,আছর নামাজ বাদ জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। এ ঘটনায় নির্বাচনী জের রয়েছে। বর্তমান ইউপি সদস্য মোতাহার মৃধা জড়িত থাকতে পারে। উভয় পক্ষ আমাদের আত্মীয়। দাফন শেষে মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার এসআই হেলাল মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পনু মেম্বারের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দেহভাজন ২ জন এবং একটি প্রাইভেটকারসহ ১ জন চালকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পনু মেম্বারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, ধারনা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র পূর্বের মারামারি কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।