বিশেষ প্রতিনিধি: গত ৮ মে ২০২৩ ইং সোমবার দৈনিক প্রথম আলো ডটকম, ৯ মে দৈনিক যায়যায় দিন, ১০ মে দৈনিক বাংলার দর্পন ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায় জেলা বিএনপির রাজনীতি নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয় নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ১ বছর যাবৎ তালাবদ্ধ তা আদৌ সত্য নয় বলে জানান। কারণ ২০২২ ইং এর পহেলা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় যা বিভিন্ন গণ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
তাহলে কিভাবে বলা হলো বিএনপি জেলা কার্যালয় তালাবদ্ধ? বরং ২৮ শে ডিসেম্বর নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি আসার পর থেকে বার বার জেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করার কারণে ও রমজানের জন্য ২/৩ মাস যাবত বন্ধ ছিল। গত ফেব্রæয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী দিয়ে বিএনপির অফিস ভাংচুর এবং পুরিয়ে দেয়। তাছাড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ জাহিদুল আলম জেলা বিএনপিকে উদ্বৃত করে যে বক্তব্য প্রদান করে তা সবই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটি একটি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য।
কারণ জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটি গঠন হয় ২০১৯ ইং সালের অক্টোবর মাসে। ২০১৮ ইং সালের জাতীয় নির্বাচনে অধ্যাপক ডা. মোঃ আনোয়ারুল হক মনোনয়ন পাওয়ার পর সারা বাংলাদেশের যে কয়জন প্রার্থী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তাদের মধ্যে ডা. মোঃ আনোয়ারুল হক একজন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সাবেক পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম সহ সাবেক হেভিওয়েট নেতারা তখন গা ডাকা দেয় এবং আওয়ামীলীগের নেতদের সাথে লিয়াজু করে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেন এবং অদ্যবধি পর্যন্ত সরকার দলীয় নেতাদের সাথে লিয়াজু করে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম বাধাগ্রস্থ করেছেন এবং সরকার দলীয় নেতাদের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
এখন তারা মনে করছেন যে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পরবে তাই তারা গ্রæপিং করে লাইমলাইটে আসতে চাইছেন। ২০১৯ সালে যখন কমিটি গঠনের পূর্বে জেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সহসভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদারকে বৈঠকে ডাকলেও তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডাকে অংশগ্রহণ করেননি।
উক্ত রিপোর্টে নেত্রকোণা জেলা যুবদলের সহসভাপতি রনির নামে ৩৬/৩৭ টি মামলা আছে তাও মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তার নামে ২০১৪ সালে ১টি ও ২০২২ সালে ৩টি সহ মোট ৪টি মামলা আছে। রনির চাচা নেত্রকোণা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক, তার চাচাতো ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের সাথে লিয়াজু করে যুবদলের ব্যানারে ২টি মিছিল করে তাদের বাসার সামনে।
২০২২ সালের ২১ শে ফেব্রæয়ারী দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক এস.এম. মনিরুজ্জামান দুদুর উপর হামলার কারণে তাকে তখন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে মুসলেকা দিয়ে দলে ফিরে আসে। নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটি গঠনের পর নেত্রকোণা জেলা বিএনপির ইতিহাসে প্রত্যেক ইউনিটে কর্মীসভা করে আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ১৫টি ইউনিটের মধ্যে ৫টি সম্মেলন হয়েছে এবং ১০টি ইউনিট সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত আছে। পুলিশের কাছে বারবার অনুমতি চাওয়ার পরেও অনুমতি না পাওয়ায় সম্মেলন করতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়াও সরকার বিরোধী বিভিন্ন কেন্দ্রীয় কর্মসূচী থাকাতে ইউনিট কমিটির সম্মেলন করতে বিঘœ গঠে।
বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে অচিরেই ইউনিট কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।
সুতরাং, দৈনিক প্রথম আলো ডটকম, দৈনিক যায়যায় দিন, দৈনিক বাংলার দর্পন ও দৈনিক আমার সংবাদ সহ বিভিন্ন অনলাই ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জেলা বিএনপির নামে যে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন রিপোর্ট করেছে তার জেলা বিএনপির আহŸায়ক এর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।