শামীম আহসান মল্লিক ,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বারইখালী ইউনিয়নের বি এস এস দাখিল মাদ্রাসার সুপার অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মসজিদের বরাদ্দের পুরো টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে,তার বিরুদ্ধে ২ টি জামে মসজিদ সহ একটি মাদ্রাসার উন্নয়নের অনুদানের মোট ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা পরিষদের টাকায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অভি্যুক্ত অহিদুজ্জামান নিজেই এই ৩ টি প্রকল্পের সভাপতি হয়ে এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে।বাগেরহাট জেলা পরিষদের দেয়া আর্থিক অনুদানের এই টাকা ১৪ নং বারইখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বি এস এস দাখিল মাদ্রাসা সংস্কার, বারইখালী সুতালরি মসজিদের সংস্কার ও মধ্য জোমাদ্দারপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন সংস্কার কাজে ব্যায় করার কথা থাকলেও সে টাকার কোন হদিস জানেন না দুই মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,মুসলমানদের ইবাদতের শেস্ঠতম স্হান এই মসজিদ সংস্কারের নাম দিয়ে এলাকার বি এস এস দাখিল মাদ্রাসার এই সুপার ভুয়া কমিটি দিয়ে এই টাকা উত্তোলন করেছে। বি এস এস দাখিল মাদ্রাসাার বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান কিন্তু জেলা পরিষদের বরাদ্দের রেজুলেশন বহিতে মাদ্রাসার সুপার ওহিদুজ্জামান অন্য একজনকে সভাপতি বানিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন,
অন্যদিকে দুইটি মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি,সম্পাদক সহ মুসল্লীদের দাবি বি এস এস দাখিল মাদ্রাসার সুপার অওহিদুজ্জামান ভুয়া প্রকল্প দিয়ে মসজিদের নামে এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে, এই প্রতারক সুপারকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তার এমপিও বাতিলের দাবি জানান
জেলা পরিষদের রেজুলেশনে বহিতে দেখা যায় মাদ্রাসার সুপার ওহিদুজ্জামান নিজে মাদ্রাসার প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মসজিদ কমিটির সভাপতি,সম্পাদকের সিল সই জাল করে প্রকল্প কমিটি জমা দিয়েছেন,যার সাথে মাদ্রাসা,মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি সম্পাদকের কোন সম্পৃক্ততা নেই।এই ওহিদুজ্জামান নিজেই এই ৩ টি প্রকল্প কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তোফাজ্জেল কে।তবে অভি্যুক্ত শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন তার সীল সই জাল করা হয়েছে,তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না
স্হানীয়রা বলেন মসজিদের নামে জেলা পরিষদের টাকা বরাদ্দের বিষয়টি মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ সাধারণ মুসল্লিরা জানেন না। মসজিদের মুসল্লিদের না জানিয়ে ওহিদুজ্জামান প্রকল্পের ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে বরাদ্দের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন।
অভিযুক্ত সুপার ওহিদুজ্জামান এর ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান বলেন
ঘটনার সত্যতা যাচাই কারার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে,অভি্যুক্ত ওহিদুজ্জামান এবং এর সাথে সম্পৃক্ত ওই প্রতিস্টানের শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের বেতন স্হগিত করা হয়েছে এবং তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে তাদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধি অনুসারে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।