মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ,বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, সাধারন সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামসহ বিএনপির ২১১জন নেতাকর্মীর নামে সদর থানায় তিনটি ও দুপচাঁচিয়া থানায় ১টি সহ মোট ৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
এর মধ্যে সাধারন সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক আহবায়ক এবিএম মাজেদুর রহমান জুয়েলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের উপর হামলা, মারপিট, সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ভাংচুর ও বিষ্ফোরক আইনে দায়েরকৃত পৃথক তিনটি ৃমামলায় গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শহরের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় এসব মামলা দায়ের করে।
এ ছাড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানায় শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি কোচ ভাংচুরের ঘটনায় ২২জন আদমদিঘি থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলা করেছেন গাড়ীর চালক ফেরদৌস।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ¯িœগ্ধ আখতার বলেছেন, মঙ্গলবার জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচী চলাকালে শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় ও নবাববাড়ী রোডের সদর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং পুলিশের উপর হামলা, মারপিট করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এসব ঘটনায় সদর থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ তিনটি মামলায় ১৮৯ জনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়েছে। এসব্ মামলায় এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতা হেনা ও জুয়েলকে তিনটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ ছাড়া দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় একটি গাড়ী ভাংচুর ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় আদমদিঘি থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের ২২জনকে আসামী করা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবী করে বিবৃতি দিয়েছে জেলা বিএনপি। আগের দিনের সংঘর্ষের পর বুধবার দিনভর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।