এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর মোঃ রাইসুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূত ভাবে টেন্ডারের কাজ দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বরগুনার মেসার্স এনএইচ-এমটি-এফই(জেভি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো: বশির আহম্মেদ এই অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রেইন ওয়াটার হারবেস্টটিং নামে একটি প্রকল্পের (উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ) দরপত্র আহবান করা হয়।
গত ২৫ মে ২০২৩ তারিখে ১১ কোট ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ৩ শত ২৫ টাকার ওই দরপত্র খোলা হয়। সেখানে মেসার্স এনএইচ-এমটি-এফই(জেভি) ১১ কেটি ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬শত ২১ টাকার দরপত্রে অংশ গ্রহন করে । ওই দরপত্রে ১০ কোটি ২৬ লাখ এ্যাবাভ সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল মেসার্স নাহর এন্ড পলি। এ সত্বেও বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম আমাকে কাজ দেয়ার কথা বলে ২০ লাখ টাকা গ্রহন করে।
যাহা পূবালী ব্যাংক বরগুনা শাখায় হিসাব-৩০০৭১ নম্বরে প্রদান করি।কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আমাকে কাজ না দিয়ে ৬০ লাখ (প্লাস) টাকা দরে মেসার্স কামাল এন্টার প্রাইজকে প্রদান করে। নির্বাহী প্রকৌশলী ও কামাল এন্টার প্রাইজ ব্যাবসায়িক অশিংদার হিসেবে কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান হয়, সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দেয়ায় সরকার প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মো: বশির আহম্মেদ তাঁর দেয়া টাকা ফেরত দাবী করেন এবং তিনি আরো বলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম এর দূর্নীতি কারনে বর্তমান সরকারের সকল ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম ফোনে কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে তথ্য দিয়েছেন বলে প্রতিবেদককে জানান। তবে হোয়াটসঅ্যাপে কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি
অপরদিকে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর পূর্বেও দেশের প্রথম শ্রেণীর গনমাধ্যমে সরকারি কার্যালয়ে সংসার পেতেছেন প্রকৌশলী এমন সংবাদ প্রকাশের পরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।