শামীম রেজা ডাফরুল , গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক খানা খন্দকে পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই এলাকায় সড়কের প্রায় সর্বত্রই পিচ ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্ঠি হয়েছে। এসব গর্তে পানি জমে ছোট ছোট ডোবার পরিনত হয়েছে। মহাসড়কে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে, হেলে দুলে। মাঝে মধ্যে এলোপাথারি যানবাহন ঢুকে পড়ায় যানজটের সৃষ্ঠি হচ্ছে। ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
মাঝে মাঝে খানাখন্দক ও গর্তের মধ্যে ভাঙ্গা ইট দিয়ে জোড়াতালি দেয়ায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এক সপ্তাহও টিকছেনা ভাঙ্গা ইটের সেসব জোড়াতালি। শুধু অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই হচ্ছেনা। এসব জোড়াতালি দেয়া সড়কের উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে বিকট শব্দ ও প্রচন্ড ঝাকুনিতে এলাকা থর থর করে কেপে উঠছে। প্রচন্ড ঝাকুনিতে সড়কের পাশে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এ যেন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’।
এ সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচল করে শত শত বাস, ট্রাক, লরি, কার্ভাড ভ্যান, কার, মাইক্রো, সিএনজি, অটো রিক্সাসহ বিভিন্ন রকম যানবাহন। সড়কের এ বেহাল দশায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী, চালকসহ এলাকাবাসীকে। মাঝে মধ্যে ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। গত রোববার গর্তে পড়ে এক সিএনজি উল্টে মহিলা এক যাত্রীর পা ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
কৃষি ব্যাংকের পাশের বাড়ির শামীম বলেন, গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের কৃষি ব্যাংকের সামনে, রহমানিয়া আবাশিক হোটেলের সামনেসহ প্রায় ১ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বৃষ্টির কারণে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়ে খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। কৃষি ব্যাংক সামনে সবচেয়ে বেশী খানা খন্দকে পরিনত হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানা খন্দকের উপর দিয়ে যখন ভারী যানবাহন চলাচল করে তখন প্রচন্ড শব্দ আর ঝাকুনিতে চারিদিক থর থর করে কেপে ওঠে। প্রচন্ড এই ঝাকুনিতে সড়কের পাশের অনেক বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেক বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখো দিয়েছে। মাঝে মধ্যে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন কিছু অর্ধ ভাঙ্গা ইট দিয়ে খানা খন্দক গুলো জোড়াতালি দিয়ে পুরন করলেও তাতে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।
এক সপ্তাহও টিকছেনা সেসব জোড়াতালি। গত ৯ আগস্ট বুধবার এসব খানা খন্দক ভাঙ্গা ইট দিয়ে জোড়াতালি দেয়া হলেও ৩দিন পর রোববার আবার সেই অবস্থা। এ সড়ক যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দাড়িয়েছে। বাস চালক আনিসুর বলেন, গোবিন্দগঞ্জ শহরের ভিতর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দকের কারণে বাস চালাতে সমস্যা হয়। ধীর গতিতে গর্তের পাশ দিয়ে একে বেকে গাড়ি চালাতে হয়।
এতে করে চলাচলে সময় বেশী লাগছে। অটোচালক শামছুল মিয়া বলেন খানা খন্দক ও উচু-নিচুর কারণে অটো চালাতে কষ্ট হয় এবং প্রায়শই অটোর স্প্রিং ভেেেঙ্গ যাচ্ছে। সপ্তাহে ২/৩ বার গাড়ি সারাতে হচ্ছে। এছ্ড়া মাঝে মধ্যে ছোট-খাট দূর্ঘটনা তো ঘটছেই। দ্রুত গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের মধ্যে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের খানা খন্দকগুলো সংস্কার করে যানচলাচলে সুবিধা করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি সচেতন মহলের।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আকতার মুঠোফোনে জানান, বৃাষ্টর কারণে সড়কের উপর পানি জমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কার কাজ অব্যাহত রয়েছে।