এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি:বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিস্তান ইউনিয়নের গোজখালী গ্রামের মো: শহিদুল ইসলাম নামে এক প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে দাবি প্রবাসীর।
রোববার রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শহিদুল। (প্রবাসী শহিদুল লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ১৯৮৩ সালে তাঁর বাবা মৃত আঃ মজিদ মুন্সি ৯৩ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি দলিল মূলে তাকে দানপত্র দেন। এরপর তিনি ওই জমি ভোগদখলও করেন।
কিন্তু ১৯৯৮ সাল থেকে প্রায় ২৫ বছর সৌদি আরবে থাকাকালীন সময়ে, তার সৎ মায়ের পূর্বের স্বামীর ঘরের দুই সন্তান (বৈমাত্রেয় ভাই) জহিরুল ও মনির স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীকে নিয়ে ওই জমি জোরপূর্বক দখল করে এবং একটি ভূয়া দলিলও বানান। স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে মো: আলতাফ হোসেন, আবুল কালাম মন্টু, সৈয়দ আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন, মনোয়ার এদের সহযোগিতায় উক্ত জমি দখল করে আছে পরে শহিদুল দেশে ফিরে ৯ শতাংশ জমি দখলে নিয়ে ঘর তোলেন।
তবে বাকি জমি এখনো তার দখলে নিতে পারেননি। অন্যদিকে দখলীয় ৯ শতাংশ জমি থেকেও তাকে উচ্ছেদের জন্য নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
শহিদুলের দাবি এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং থানায় অভিযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শহিদুলের সৎ মা তারাভানু এবং তার দুই ছেলের সাথে কথা বলতে চাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযুক্ত মো: আলতাফ হোসেন নামে একজন সাংবাদিকদের বলেন, শহিদুলের বাবা আমাদেরকে জমি কবলা মূলে দলিল দিয়েছেন। কিন্তু শহিদুল দীর্ঘদিন পরে তার বাবার একটি দানপত্র দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলছে বলে জানান আলতাফ হোসেন।
সংশ্লিষ্ট গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি তাদের দু’পক্ষের সাথে কথা বলে মিমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু শহিদুলের প্রতিপক্ষরা শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানছে না।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাখাওয়াত হোসেন তপু সাংবাদিকদের বলেন, প্রবাসী শহিদুলের কিছু জমি তার দখলেই আছে। তবে তার বিপক্ষদের থানায় ডাকা হয়েছিল কিন্তু তারা আসেনি।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি ওই জমিতে মামলা বিদ্যমান, যে কারনে সেখানে আমাদের কিছু করণীয় নাই। তবে ফৌজদারি কোন অপরাধের অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।