নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের আওতাধীন ১২টি রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে এ রাজস্ব আয় করা হয়।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযানে ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০ টাকা, আর জরিমানা বাবদ ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫৪০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য যাত্রীবাহী ট্রেনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আন্তঃনগর ওই ট্রেনগুলো হলো- ঈশ্বরদী-রহনপুরগামী কমিউটার এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটিগামী তীতুমীর এক্সপ্রেস, দিনাজপুর-ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস, রাজশাহী-খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, খু্লনা-রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস।
অভিযান চালানো রেলস্টেশনগুলো হলো, ঈশ্বরদী, আবদুলপুর জংশন, নাটোর, সান্তাহার, জয়পুরহাট, বিরামপুর, ফুলবাড়ি, রাজশাহী, ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়ালব্রীজ, উল্লাপাড়া, বঙ্গবন্ধু সেতু (পশ্চিম)।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা কে এম নুরুল আলম, ফারহান মাহমুদ, রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) আব্দুল হালিম বিশ্বাস মিঠু, এস এম আবু সুফিয়ান, মার্টিন জয় মন্ডল, বরকতউল্লাহ আল আমিনসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
নাসির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে অনেকটা উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিনা টিকিটে অনেক যাত্রী টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চড়ে নিজেদের গন্তব্যস্থলে যেতে চায়।
ডিসিও নাসির উদ্দিন আরও জানান, আমরা সাধারণত বিনা টিকিটের যাত্রীদের পরবর্তী স্টেশনে শাস্তিস্বরুপ নামিয়ে দিয়ে থাকি। কিন্তু ট্রেনে ভ্রমণ নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হওয়ার কারণে ভাড়াসহ জরিমানা দিয়েই গন্তব্যপথে যেতে চায়।