নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল ‘ফিউ থাই’ই থাইল্যান্ডের নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। অবশ্য তারা এককভাবে নয়, ১০ দলীয় জোট গড়েছে সরকার গঠন করতে। আর এতে দুটি দল আছে যারা দেশটির সেনাশাসকদের পক্ষের।
জাতীয় নির্বাচনের পর তিন মাস ধরে চলমান অস্থিরতার পর থাইল্যান্ড নতুন সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে মনে হচ্ছে।
পার্লামেন্টে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটির নির্ধারিত তারিখের এক দিন আগে সোমবার এ ঘোষণা এলো।
একইসাথে ১৫ বছরের স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে মঙ্গলবারই দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন ফিউ থাই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।
ধারণা করা হচ্ছে ফিউ থাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রিয়েল এস্টেট মোগল স্রেত্থা থাভিসিনের নাম প্রস্তাব করতে পারে।
গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে ফিউ থাই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। প্রধান হওয়া মোভ ফরওয়ার্ড পার্টি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সমর্থন না পাওয়ায় সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। অনির্বাচিতদের দ্বারা গঠিত উচ্চকক্ষে সেনাসমর্থিতদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
৬০ বছর বয়সী স্রেত্থা রাজনীতিতে নতুন। সরকার গঠন করতে হলে তাকে পার্লামেন্ট সদস্যদের ৩৭৫ জনের সমর্থন পেতে হবে অথবা যৌথভাবে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি সমর্থন পেলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয়ী হয়ে পরবর্তী সরকার গঠন করতে পারবেন।
ফিউ থাই দলের প্রধান ছোলনান স্রিকাইউ সাংবাদিকদের বলেছেন, ১০ দলের সমন্বয়ে সমন্বয়ে একটি জোট গঠন করা হয়েছে, যাতে বিদায় নিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ ছান-উছার ইউনাইটেড থাই ন্যাশনাল পার্টি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রাউত উংগসুয়ানের পালাং প্রাছরাত পার্টিও রয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা