শামীম রেজা ডাফরুল,গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে হামলায় ধারালো দেশি অস্ত্রের আঘাতে ৬ জন গুরুতর আহত ও লুটপাট, ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও পুলিশ আসামী গ্রেফতারে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইর (সানাপাড়া) গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের সাথে মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে ময়েন উদ্দিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই এক পর্যায়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় ময়েন উদ্দিন ও তার ৫ ছেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সľি¡ত হয়ে অতর্কিতে মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে।
এ সময় হামলাকারীরা এলোপাতাড়ী ভাবে বাড়িতে উপস্থিত লোকজনকে বেধরক মারধর করে প্রায় ৬ ব্যক্তিকে গুরুতর আহত করে। সেই সাথে বাড়িঘর ভাংচুর সহ একটি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে নগদ ২ লক্ষ টাকা ৬০ হাজার টাকার গহনা ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ।
সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালানোর সময় মমতাজের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৬০) মোঃ জামাল উদ্দিন (৪২) মমতাজ উদ্দিন(৬০) মোছাঃ সুমনা বেগম (৩৫) কে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহতদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে জামাল ও মমতাজ উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের আশংকাজনক অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ শামীম প্রধান বাদী হয়ে একই গ্রামের ইউনুস আলী, ইমাত উদ্দিন ময়েন উদ্দিন সহ ১০জনকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বরেল মামলার বাদী শামীম প্রধান অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই প্রলয় কুমার বর্মা আসামীদের গ্রেফতার না করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আসামী গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সকল আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতারে একটু দেরি হচ্ছে।