নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বস্তির জয়ে এশিয়া কাপ মিশন শেষ করলো বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই শেষে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতকে ৬ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।
কলম্বোতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারত একাদশে আনে তাই পাঁচ পরিবর্তন।
টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বেঞ্চে থাকা ক্রিকেটারদের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বাংলাদেশেও। সেই পরীক্ষা-নিরিক্ষায় ভারতের চেয়ে বেশি সফল টাইগাররা। অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের অনবদ্য বোলিংয়েই ভারতের কপাল পুড়েছে। বল হাতে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন বাকিরাও
টসে হেরে আগে ব্যাট করে সাকিব আল হাসানের ৮০, তাওহীদ হৃদয়ের ৫৪ এবং ইনিংসের শেষদিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সেই রান তাড়ায় নেমে ভারত শুরুতেই হারায় ২ উইকেট, দুটিই নেন তানজিম সাকিব। পরে শুভমন গিলের সেঞ্চুরিতে জয়ের পথেই ছিল ভারত। কিন্তু শেষদিকে আবারও আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভারতকে টানা তৃতীয় জয় থেকে বঞ্চিত রাখে বাংলাদেশ। ৪৯.৫ ওভার খেলে ২৫৯ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারায় রোহিত শর্মার দল।
অভিষিক্ত তানজিম সাকিব নিজের দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট। শূন্য হাতেই ফেরেন রোহিত। ভারত দলে অভিষিক্ত তিলক বর্মাকেও (৫) নিজের শিকার বানান এই পেসার। ১৭ রানেই ২ উইকেট হারানো ভারতের হয়ে এরপর ইনিংস মেরামতের কাজে লাগেন শুভমন গিল ও লোকেশ রাহুল। তবে শেখ মাহেদী বাধ সাধেন সেখানে। রাহুলকে (১৯) ফিরিয়ে ভাঙেন ৫৭ রানের জুটি। দলীয় স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ হতে আরও একটি উইকেট হারায় ভারত। এবার মেহেদী মিরাজের স্পিনে ভুল শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দেন ঈশান কিশান (৫)।
ভারতকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দেন ব্যাট হাতে উজ্জ্বল সাকিব। পুরো ইনিংসে দারুণ বোলিংয়ের পর নিজের কোটা পূরণের শেষদিকে এসে বিপদজনক সূর্যকুমার যাদবকে (২৬) ফেরান সাকিব। সূর্যকুমার ফেরায় গিলের লড়াইটা একার হয়ে যায়। তিনি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেন, চেষ্টা করেন অক্ষর প্যাটেলও। কিন্তু কাজের কাজটি হয়নি।
গিল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর শেখ মাহেদীকে বড় শট খেলতে গিয়েই ক্যাচ দেন। ১২১ রানে থামে তার লড়াই। এর আগে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হন রবীন্দ্র জাদেজা (৭)। ফিজ পরে ফেরান শারদুল ঠাকুরকেও (১১)। তবে তার সেরা শিকার নিঃসন্দেহে অক্ষর প্যাটেল। কেননা এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ব্যাটেই জয়ের পথে এগোচ্ছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত ৪২ রানে কাটা পড়েন তিনি। ভারত নিজেদের শেষ উইকেট হারায় রানআউটে। শামি ৬ রান করে রানআউটে কাটা পড়তেই জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ।