রবিউল ইসলাম ,ঝিনাইদহ:ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিকে সেচ প্রকল্পের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। দীর্ঘ ৫ মাস ব্রিজ ভেঙে গেলেও সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তবে সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শৈলকুপা উপজেলার চরপাড়া, সাধুহাটি, নাগপাড়া, হরিহরাসহ প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে জিকে সেচ খালের ব্রিজটি পার হয়ে যেতে হয় খুলুমবাড়িয়া বাজারে।
ওই বাজারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্যাংক, কৃষকের পণ্য বিক্রি জন্য নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। শুধু তাই নই কৃষকদের কৃষি কাজও ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সজিবুল ইসলাম সজিব জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগের পাশাপাশি যাতায়াত করতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তাই দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করে দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানাচ্ছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। স্থানীয় খুলুমবাড়িয়া বাজারে ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন জানান, দীর্ঘ ৫ মাস ব্রিজ ভেঙে থাকায় প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ইচ্ছা থাকলেও নিয়মিত বাজারে আসতে না পারায় আমাদের বাজারের ব্যবসায় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া ব্যবসায় একটু মন্দা দিন যাপন করছে এই বাজারের ব্যবসায়ীরা।
শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু জানান, এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে আছে বলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বললেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের কাছে সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যদি বরাদ্দ আসে, তাহলে কাজ শুরু করা সম্ভব। ষাটের দশকে শৈলকুপা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ঝিনাইদহ জেলা ছাড়াও কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ি জেলার মানুষের চলাচলের সহজ মাধ্যম এই ব্রিজটি।