নিজস্ব প্রতিবেদন: গাজায় ইসরাইলি আক্রমণের মাঝে রাশিয়া গেছে গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি প্রতিনিধি দল।
শুক্রবার তারা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
এ সময় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া বিশ্বাস করে যে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা প্রয়োজন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, হামাসের প্রতিনিধি দলকে মস্কোতে আমন্ত্রণ জানানোয় ইসরাইল ক্রোধান্বিত হয়েছে।
এ সময় পেসকভ আরো উল্লেখ করেন, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া ও ইরানের সামরিক ভাণ্ডারে হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, অঞ্চলটির উত্তেজনায় মার্কিন এই উপস্থিতি পরিস্থিতি আরো জটিল করবে, যা ‘অত্যন্ত খারাপ’।
তিনি উল্লেখ করেন যে, মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে টেনে নেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
রাশিয়া ‘পূর্ণ দূরত্বে না থেকে’ কূটনৈতিক চেষ্টা করছে : বিশ্লেষক
কাতারের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল-আরিয়ানের মতে, রাশিয়ার মস্কোতে হামাসের প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানো মানে ‘সম্পূর্ণ দূরত্বে না গিয়ে’ কূটনীতির জন্য এক ধরনের পৃথক পথ তৈরি করার একটি উপায়।
তিনি আলজাজিরাকে বলেন, ‘আপনাকে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈরিতার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে।’ তিনি ব্যাখ্যা করে যে, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন জোরালো সমর্থনের কারণেই হামাসের সাথে কথা বলে রাশিয়াও যুদ্ধে মধ্যস্থতায় জড়িত হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন যে রাশিয়া ছাড়াও একাধিক আন্তর্জাতিক ভূমিকা পালনকারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
‘এর ফলাফল কী হতে পারে তা খুব তাড়াতাড়িই বলা যাবে বলে মনে হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
গাজায় ইসরাইলি বন্দীর সংখ্যা ২২৯
ইসরাইল জানিয়েছে গাজায় হামাসের হাতে তাদের ২২৯ জন বন্দী আছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল দানিয়েল হাগারি এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বন্দীর সংখ্যা ২২৪ জন বলে জানানো হয়েছিল।
আরো জানানো হয়, বন্দীদের মধ্যে চারজনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
অন্যরাও বেঁচে আছে আশা করে ইসরাইলি বাহিনী বলছে, অন্যদেরও মুক্ত করা হবে।
সূত্র : আলজাজিরা