নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামীতে নীলফামারীর চিলাহটি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন হবে। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলবে। চিলাহাটিত স্থলবন্দর হবে এবং খুলনার মঙ্গলা বন্দর থেকে সরাসরি শুধু ভারত নয়, নেপাল-ভুটান পর্যন্ত মালামাল আনা নেওয়া করা যাবে।
’
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি সীমান্তে আইকনিক স্টেশন ভবন, প্ল্যাটফরম ও ফুটওভার ব্রিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। চিলাহাটি থেকে ট্রেন সকাল-বিকাল ঢাকা যাচ্ছে। এ পথে খুলনা-রাজশাহী অন্যান্য ট্রেন চলছে।
আন্তর্দেশীয় ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস এনজিপি (ভারত) থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলছে। এ এলাকার মানুষের চাহিদা ছিল মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে ভারত যাতায়াতের। যেটা কাঠামোর কারণে এত দিন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন স্টেশন ভবন নির্মাণের ফলে সেটি পূরণ হবে।
আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এখানে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চালু হবে। এরপর চিলাহাটিতে ট্রেনে উঠে ভারতের এনজেপি, জলপাইগুড়ি যাতায়াত করা যাবে।’
বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন আমরাও করেছি, আমরা মার খেয়েছি, আমরা কোনো দিনও পুলিশকে মারিনি। আমাদের লোকজন জীবন দিয়েছে, জেলখানায় গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কতবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
কই খালেদা জিয়াকে তো একবারও হত্যাচেষ্টা করা হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাদের জেলখানার মধ্যেও হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকে তো এইভাবে মারা হয়নি।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারা জীবন রাজনীতি করেছিলেন গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। বঙ্গবন্ধু দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। সে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন সংগ্রাম করে দেশটাকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে নিয়েছেন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার। এ ছাড়া বক্তব্য দেন রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ী লিং রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহীম প্রমুখ।