রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ : কালীগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বসতবাড়িতে ভাংচুর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
এসময় পুলিশ বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু,শহিদুল ইসলাম সাইদুল ও কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইফতি জাহানের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।এসময় তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠুর স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তার স্বামী বাড়িতে থাকেন না। সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দুটি গাড়িতে করে ২৫-৩০ জন পুলিশ তাদের বাড়িতে আসেন। এসময় তারা গেটে জোরে জোরে বাড়ি মারতে থাকেন।
তাদের হাতে শাবল ও হাতুড়ি ছিল। ঘরে দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ঘরের মধ্যে ঢুকে বিছানা আসবাবপত্র এলোমেলো করে। হাতে থাকা লাঠি দিয়ে জানালায় আঘাত করে।
তাদের সঙ্গে কোন মহিলা পুলিশ সদস্য ছিল না।তিনি ভয়ে বাথরুমে আশ্রয় নেয়। শব্দ শুনে তার স্বামীর বড় ভাই ও ছেলে বেড়িয়ে এলে তাদেরকেও গালিগালাজ করে। বড় ভায়ের ছেলে তামিম এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।
প্রায় ১ ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে চলে যায়। কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইফতি জাহানের মা নূরজাহান বলেন রাত ১ টার দিকে পুলিশ তাদের বাড়িতে আসে।বাড়ির গেট ভেঙে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে ছেলেকে খুঁজতে থাকে।
অনেক পুলিশের পোষাক পরিহিত আবার অনেকে সাদা পোষাকে এসেছিল। এসময় ছেলেকে না পেয়ে বলে ছেলে মিছিলে গেলে গুলি করে দিবো। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু বলেন, প্রায়ই তার বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করছে।
সোমবার পুলিশ বাড়িতে ঢুকে নারকীয় তান্ডব চালায়। থানার ওসি আবু আজিফ দেওয়াল ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,পুলিশ এমন কাজ করতেই পারে না। যারা এজাহার নামার আসামি বা নাশকতা করার জন্য মিছিল মিটিং করছে শুধু তাদের বাড়িতে গিয়ে নক করছে।