নিজস্ব প্রতিবেদন: রংপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি সিন্ডিকেটের ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় বেশ কিছু ডিভাইস ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে রংপুর ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিটু এক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্রের উত্তর প্রদানের চুক্তি করা হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী পরীক্ষার আগে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে রংপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩ জন রংপুরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ১১ জন পরীক্ষার্থী এবং পাঁচজন ডিভাইস জালিয়াতি সিন্ডিকেটের সদস্য।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ জন নারী রয়েছেন, যাদের পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে ১১টি ডিভাইস, ৮০টি ফোন ও এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়। ডিভাইস জালিয়াতি সিন্ডিকেটে সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযানে মোট চারটি দল কাজ করে বলে জানায় পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান বলেন, সরকার সব নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বাত্মক সচেতন। তারপরও একটি অসাধু চক্র ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহার করে এই জালিয়াতি কাজের সঙ্গে জড়িত। মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটিকে পরীক্ষার আগে রাতে ও পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করে। এ কারণে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি চক্রটি।
এসময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ডিবি কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলামসহ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরীক্ষা বাতিল হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের। তাছাড়া রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন।