জয়যাত্রা ডেস্ক : ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ বুধবার মিসর যাচ্ছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিনিধিদল। তারা মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামালের সাথে বন্দী মুক্তির বিনিময়ে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করবেন। এক মিসরীয় কর্মকর্তা কাতারের আল আরাবি নিউজ চ্যানেলকে এই তথ্য জানিয়েছেন। কাতারের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব হামাস পাওয়ার কথা স্বীকার করার প্রেক্ষাপটে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।
ইসরাইলের সাথে আলোচনার পর কাতারের প্রস্তাবে তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি ধাপে হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরাইল বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। এছাড়া এ সময় গাজায় কোনো ধরনের হামলা হবে না এবং ত্রাণ সাহায্য আরো বেশি পরিমাণে গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রথম ধাবে শিশু, নারী, অসুস্থ ও বয়স্ক বন্দীদের মুক্তি দেবে হামাস। এপরপর সৈন্যদের মুক্তি প্রদান করা হবে। সবশেষে হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের লাশ ফেরত দেয়া হবে।
এই তিন ধাপের সময় উভয় পক্ষ সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেবে। তবে তিনটি ধাপ কত দিন স্থায়ী হবে তা চূড়ান্ত পর্বে নির্ধারিত হবে।
তবে হামাসের পলিটব্যুরোর কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজাল আল আরাবিকে বলেন, তাদের টার্গেট হলো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইল যদি গাজা উপত্যকা থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে তবে আলোচনা সফল হবে না।
আলোচনার প্রতি আন্তরিকতা দেখাতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, তিনি সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে কায়রো যাবেন। এক মাসের বেশি সময় পর তিনি মিসর যাচ্ছেন।
আজ বুধবারের আলোচনায় চুক্তির প্রথম ধাপে কত দিন যুদ্ধবিরতি হবে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হবে। তাছাড়া হামাসের হাতে আটকদের বিনিময়ে কতজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে।
আরবিভাষী আল আরাবি আল-জাদিদ পত্রিকার মতে, হামাস প্রতিটি ইসরাইলি সৈন্যের বিনিময়ে ১০০-২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি দাবি করেছে।
মিসরীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি খবরে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চুক্তি হতে পারে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল