নিজস্ব প্রতিবেদন: (জিওগ্রাফিক্যাল ইনিডএকশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সাধারণত দেশের অধিকারে জিআই স্বত্ব থাকে।
কোনও পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে সেটিকে বৈশ্বিকভাবে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়। জিআই সনদ থাকলে সেই পণ্যের বাণিজ্যিক উৎপাদনের অধিকার ও আইনি সুরক্ষাও ওই দেশের অধীনেই থাকে। অন্য কোনো দেশ তখন ওই পণ্যের মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করার সুযোগ পায় না। ফলে উৎপাদকের বাণিজ্যিক বা আর্থিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।
ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’কে নিজেদের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তা বিতর্ক উসকে দেয়। পরে দ্রুতই টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন থেকেও ডিপিডিটিতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়। এরপর একে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জিআই জার্নাল প্রকাশ করেছে ডিপিডিটি। নিয়ম অনুযায়ী, এরপর দুই মাসের মধ্যে এই জার্নালের বিরোধিতা কেউ না করলে টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পাবে।
পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর
এদিকে, ভারত আগেই এই শাড়িকে নিজেদের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশেও টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই স্বীকৃতি পেলে পণ্যটির অধিকার নিয়ে দুই দেশই দাবিদার হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে পণ্যটির স্বীকৃতি এককভাবে পেতে হলে বাংলাদেশকে ভারতের দেওয়া জিআই স্বীকৃতির সনদের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে।
ডিপিডিটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আলেয়া খাতুন এর আগে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জিআই পণ্যে স্বীকৃতি নিয়ে বিবাদ হলে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) দ্বারস্থ হতে হয়। টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়েও ভারতের স্বীকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ ডব্লিউআইপিওতে যাবে। সেখানে টাঙ্গাইল শাড়ির একক জিআই বাংলাদেশই পাবে বলে আশাবাদী তিনি।