নিজস্ব প্রতিবেদন: ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরে চলাচল করা বাসগুলো যাত্রী নিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। তবে এবার এ বাসগুলো ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদ উৎসব ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাইরে যাবেন। এই সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা থাকবে। আমরা পরামর্শ দেব নগরবাসীর মূল্যবান জিনিসপত্রের বিষয়ে নিজেরা সজাগ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। অর্ধেকের বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল। তাই এবারের ঈদে পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশ সদস্যদের এ নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’ ঈদে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কগুলোতে মোটরসাইকেলে যাতায়াত না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
আজ রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং মল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বাস মালিকদের নিষেধ করা হয়েছে যেন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের না করে। যারা এসব নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঈদের কেনাকাটায় কারণে ঢাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যে পরিমাণ মার্কেট ও যানবাহন রয়েছে সেই তুলনায় পর্যাপ্ত বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে ঈদ কেনাকাটা করতে আসা গাড়িগুলো রাস্তায় পার্কিং করা হচ্ছে। এতে করে আরও যানজট বাড়ছে। সড়কে পার্কিং করলে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মার্কেট কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।