এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় আমতলীতে ব্রিজ ভেঙ্গে ৯ জন নিহত ও ১০ জন জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে ।
(২৫ জুন) মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সদস্য বরগুনা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আহম্মেদ প্রতিবেদককে জানান ,বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের সংযোগ ব্রিজ ভেঙে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ জন নিহত ও ১০ জন জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি।
প্রথমে তদন্ত কমিটির সদস্যরা আমরা একটি সভা করেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তিনি আরো জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা পৃথক পৃথক ভাবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন। আশা করছি আমি আগামী বৃহস্পতিবার এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।
এর পূর্বে ঘটনার দিন শনিবার বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাসকে আহ্বায়ক এবং আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের একটি ঝুঁকিপূর্ণ সংযোগ ব্রিজ ভেঙে বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস (গাড়ি ) বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশা খালে পড়ে যায়।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা নারী ও শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় ।
শনিবার (২২ জুন) বেলা দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বরগুনার আমতলীতে খালাতো বোনের বিয়েতে গিয়ে ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে যে ৯ জন নিহত হয় এর মধ্যে একই পরিবারের ৭ সদস্য হারান শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহা পাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজ।
সবুজ এই এলাকার ফজলুর রহমান খানের ছেলে।নিহতেরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), শাশুড়ি রুমি বেগম (৪০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামী মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামী ফাতেমা বেগম (৪০)।
এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদিও (৫) এই ঘটনায় মারা যান।