মো. নজরুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি :গোটা দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ অনন্ত ৭০০ জনকে।
গত ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ছাকা বাদী হয়ে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এমারুল ইসলাম সাবিনের ছেলে সৌমিককেও আসামি করা হয়।
এছাড়া ১৭ জুলাই ৪৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনের নামে আরও একটি মামলা করে পুলিশ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ১৭ জুলাই জেলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ১নং রেলগেটে অবস্থান নেয় তারা। এসময় আন্দোলনকারীদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজিত হয়ে যায় তারা।
কয়েক দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর করা হয়।
পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সদর আসনের মহাজোটের প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে সিজানকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম মামুন বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলেন, বিএনপির ৮৬ নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।