এস.এম ফেরদৌস,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
বিগত ৫ই আগষ্ট/২৪ বাংলাদেশের মানুষ চরম কর্তৃত্ববাদী একটি সরকারের পতন ও পলায়নের মধ্য দিয়ে ২য় স্বাধীনতা অর্জন
করেছে। দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী এই মুক্তির আমেজে ভাসছে।
বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের স্বাধীন মতামত প্রচার ও প্রকাশ করছে নির্বিঘ্নে।
কিন্তু দীর্ঘ দিনের সমাজের বিভিন্ন বিশৃংঙ্খলা, বৈষম্য ও দূর্নীতি এত ব্যাপকতা পেয়েছিল যে তা এখনো
বিদ্যমান রয়েছে।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রফেসর ড. ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ আন্তরিক চেষ্টা রয়েছে উপরোক্ত বিষয়াবলির সমাধাণে। আদৌ কি অবস্থায় রয়েছে, আমরা কম বেশী সবাই জানি।
সমাজের মানুষের বিশেষ করে রাজনৈতিক দল গুলোর স্বদিচ্ছা না থাকলে সমাজ বা দেশ থেকে অরাজকতার ঐসব উপাদান গুলি দূর করা সম্ভব নয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যমে মানুষের মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন এসছে, একথা সুস্পষ্ট। তার প্রমান দেখা
যাচ্ছে দেশের সর্বত্রই ছাত্র-জনতা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠানোর মাধ্যমে।
এতদ্বসত্তে ও কিছু রাজনৈতিক দলের কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর পূর্বের পলায়ন পর স্বৈরশাসকদের মতই আচরন বিবেকবান ও অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর মনে শংকার আবির্ভাব ঘটেছে। মানুষ মনে করছে আবার কি আরেকটি স্বৈরশাসন সব স্বপ্ন ও আকাংঙ্খা দুমড়ে মুচড়ে দেবে? আশংকার দিক এভাবে প্রতিয় মান হয় যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিগত স্বৈরচারের কর্মী ও দোসর দের সাথে বড় রাজনৈতিক গোষ্ঠির বিশেষ ভাবে বি.এন.পি এর বিভিন্ন পর্যায়ের মুষ্ঠিমেয় কিছু নেতা-কর্মী তাদের সাথে আতাঁত করছে।
এ জন্য মানুষ বলাবলি করছে
আওয়ামীলীগ ও বি.এন.পি মুদ্রার এপিঠ ও পিঠ। এর পরেও আশার কথা হলো বি.এন.পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন জনাব তারেক রহমান বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে দলের নেতা-কর্মীদের কঠোর বার্তা দিচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে বিগত গণতন্ত্রের আন্দোলনে সকল
অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠণ করবেন।
যদিও বংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু সম্ভবপর হবে তা আগামী দিনে বুঝা যাবে। এবার একটু আসি অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কথায়।
এবছরেই গত ১লা আগষ্ট বিগত স্বৈরচারী সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও তার অঙ্গ সংগঠন গুলো প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করেছিলো।
বর্তমানে তাদের নিষিদ্ধ আদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। সমাজে বিভিন্ন অংশে তারা সামাজিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। বিশেষ করে তাদের আমির জনাব ডা: শফিকুর রহমানের মানবিক কার্যাবলী ও বক্তৃতা-বিবৃতি সমাজের মানুষের মনে ব্যাপক দাগ কেটেছে।
এতে করে দলটি স্বাধীনতা পরবর্তী যে কোন সময়ের চাইতে জন প্রিয়তায় এগিয়ে গেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
মনে করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐকজোট, হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য ইসলামী দলগুলো
কে নিয়ে ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ইসলাম প্রিয় মানুষদের সাথে কথা বলে ইসলামী দলগুলো আশাবাদী হচ্ছেন। আগামী বৈষম্যহীন দেশ গঠনে জাতির প্রত্যাশা পূরণের পথে কি? কি? অন্তরায় তা স্পষ্ট করে রাজনৈতিক দলগুলোকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চলবে…