শামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রিপা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের কারণে মারপিটে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে নিহত রিপা খাতুনের চাচী শিউলী বেগম বলেন, গত ৫ বছর পূর্বে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের মৃত রাহেনুল খন্দকারের ছেলে আতিকুর খন্দকারের সাথে রিপার বিয়ে হয়।
রাফি খন্দকার নামে তাদের ২ বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আতিকুর যৌতুকের জন্য রিপার উপর মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করতো।
আর এ যৌতুকের জন্য প্ররোচনা দিত তার দেবর রকি খন্দকারসহ মোঃ আফাজ উদ্দিন খন্দকার, মোঃ ইউসুফ আলী, এনামুল খন্দকার, মোঃ তোফা ও শ্বশুর বাড়ির অন্যান্যরা।
মেয়ের সংসারে শান্তির জন্য প্রায়ই নানা অংকের টাকাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু আতিকুরের যৌতুকের চাহিদা দিনদিন বাড়তেই থাকে। সেই সাথে যৌতুকের দাবী না মেটাতে পারলেই রিপার উপর নেমে আসতো ভায়াবহ নির্যাতন।
আবারো কিছুদিন আগে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে না পেয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের প্ররোচনায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টার দিকে আতিকুর রিপাকে বেদম মারপিট করে।
গুরুতর আহত রিপাকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তার অবস্থা অবনতি ঘটে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
১৬ সেপ্টেমবর রিপাকে বগুড়া শহিদ জিয়উির রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপাকে মৃত ঘোষণা করে।
শিউলী বেগম আরও বলেন, রিপার মৃত্যুর পর আতিকুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা আমাদের জীবন নাশের হুমকী সহ মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। এতে করে আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করছি।
তাই অবিলম্বে রিপা হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিপার মা ববিতা বেগম, বাবা আব্দুর রউফ মিস্ত্রি, মেয়ের চাচা আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।