নিজস্ব প্রতিবেদন: রাঙ্গামাটি সেনানিবাসে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জাতিগোষ্ঠীর নেতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বৈঠকে সবাই বলেছেন আমরা সম্প্রীতি চাই। কিন্তু জানি না কোথায় ছন্দপতন হচ্ছে। ছন্দপতনের বিষয়ে সবাই একটি বাক্য উচ্চারণ করেছে; সেটি হলো ষড়যন্ত্র। বাইরে থেকে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য।
হাসান আরিফ বলেন, এর পেছনে কারা জড়িত সেটা বের করতে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
‘কোনো ছাড় নয়’
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যারা আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করবে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। কোনো অবস্থায় পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না। যারা চেষ্টা করবে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দুই পার্বত্য জেলায় যাচ্ছেন তিন উপদেষ্টাদুই পার্বত্য জেলায় যাচ্ছেন তিন উপদেষ্টা
পাহাড়ে ইন্টারনেট নিয়ে যা জানালো বিটিআরসিপাহাড়ে ইন্টারনেট নিয়ে যা জানালো বিটিআরসি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কিছু অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনার পর পৌর এলাকায় শুক্রবার বেলা একটা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। আর খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় বেলা দুইটা থেকে ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করা হয়েছে।
দীঘিনালার পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জের এদিন সকালে রাঙ্গামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ১৭ জন হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ চারজন।
সংঘর্ষে জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল চাকমা (৩০) নামে তিন জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে আরেক পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটিতেও। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে তিন পার্বত্য জেলায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ চলছে। ঢাকায় এক সমাবেশ থেকে এই অবরোধ ডাকা হয়। বিবৃতি দিয়ে তাতে সমর্থন জানিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি যান তিন উপদেষ্টা। সেখান থেকে খাগড়াছড়ি যান তারা।