এম আর অভি, বরগুনা প্রতিনিধি: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বরগুনার অনূর্ধ্ব ১৭ নারী ফুটবল খেলোয়াড় হাফসা (১৫) এর পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
(১৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই নারী ফুটবল খেলোয়াড় কিশোরী হাফসা প্রতিবেদকে বলেন, আমাদের বসত ঘরে সংস্কার কাজ চলছে।
হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রতিপক্ষ আনছারসহ অন্যরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বসত ঘরে ঢুকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আমাদের আহত করে। আমি কেওড়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও বরগুনা অনূর্ধ্ব ১৭ নারী ফুটবল খেলোয়াড় দলের সদস্য।
আমি জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করেছি। প্রতিপক্ষ আনছার ও তার সহযোগীরা আমাদের প্রতিবেশী। পূর্ব শত্রুতার জেরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধসহ খেলাধুলায় আমি ভাল অবস্থানে যাওয়ার কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমি ও আমার পরিবারের ওপর হামলা চালায়।
এতে আমিসহ আমার মা ও বাবা গুরুত্বর আহত হয়। হাফসা আরো বলেন, আমার মাকে বরিশাল শেবাচিমে রেফার করা হয়েছে।আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। প্রতিপক্ষ হাসপাতালে এসেও আমাকে হুমকি দিয়ে বলছে যে তোমার ফুটবল খেলা পিটিয়ে ছুটিয়ে দিয়েছি।
আমার বাবা একজন দিনমজুর । আমরা এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করিনি। শুধু থানায় জানিয়ে রেখেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই। এর পূর্বে গত মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১ টার সময় নিজ বসত ঘরে এ হামলার শিকারহন ওই নারী ফুটবল খেলোয়াড় ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন -নারী ফুটবল খেলোয়াড় হাফসা (১৫) তার বাবা দুলাল (৫০) এবং মা তাসলিমা বেগম। আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
আহতসূত্রে জানাগেছে , সদর উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আনছার (৫০) , জসিম (৩০) , হেলাল (২৫), সাথী (২৩) বিউটি (৪৫) জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওই নারী ফুটবল খেলোয়াড় হাফসাদের বসত ঘরে উঠে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
এ সময় হাফসার পায়ে পিটিয়ে আহত করে ও তার মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে এবং তার বাবা দুলাল কে পিটিয়ে হাত ভেঙে ফেলে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে সে কিছুই জানেন না।