নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল আসলো, কোন দল আসলো না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘ভোট যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, তাহলেই তাকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলা যায়। আর ভোটার যদি নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, কোন দল এলো না, সেটা তখন গুরুত্বপূর্ণ হবে না।’
আজ শনিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে ভোটের দায়িত্ব পালনকালে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের ‘দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে’ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনে বা সরকারে পুলিশ ও নির্বাহী পরিষদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। সরকার বলতে আমরা পুলিশ ও ডিসিকেই বুঝি। কাজেই আপনাদের চিত্তে ধারণ করতে হবে যে আপনারাই সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করছেন।’
নির্বাচন আয়োজনকে ‘কঠিন কর্মযজ্ঞ’ হিসেবে বর্ণনা করে সিইসি বলেন, ‘চাইলাম আর হয়ে গেল, এ রকম নয়। যেহেতু নির্বাচনের দায়িত্ব আপনাদেরও, তা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’
ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলে আসছে, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার থাকা অবস্থাতেই ভোট হবে।রাজনীতির এই দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে কী হলে নির্বাচন ‘গ্রহণযোগ্য হবে’, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান এ অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য হওয়ার অর্থ নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণকে দেখতে হবে নির্বাচনটা ফেয়ার ছিল এবং নির্বিঘ্নে সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে। এটুকু যদি নিশ্চিত করা যায়, নির্বাচনে কে আসলো, কে আসলো না…; জনগণ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলেই নির্বাচনে একটি বড় সফলতা আসবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।