রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ : আমাগের জীবনে অনেক এমপি দেকিচি কিন্তু আনার এমপির মতো এমন এমপি কখনও দেখিনি আমরা যেকোন সময় ডাকলি আমাগের একেনে চলে আসে। আমাগের কোন সমস্যা হলিপরে তার কাছে বল্লি সে নিজে দাড়িয়ে থেকে সেই সমস্যা মসাধান করে তারপর যায়। আমাগের এই এলেকার কত রাস্তাযে পাকা করে দিয়েছে তার কোন ঠিক নেই।
কথাগুলো বলছিলেন ৭০ উদ্ধো কৃষক জবেদ আলী। উপজেলার বাসুদেপুর গ্রামের হসেন আলী নামে আর এক কৃষক জানান, বর্তমানে আমরা অনেক শুকে শান্তিতে বসবাস করতি পারচি আমাগের একেনে রাস্তা পাকা করে দিয়েছে, কারেন এনে দিয়েচে আগে আমাগের মোবাইল চার্জ দিতি যাতি হত কোলা বাজারে একন আর যাতি হয়না। কেউ মরেগেলি পরে সাথে সাথে ছুটে চলে আসে আমরা আবারও আনার এমপিকে চাচ্চি। এমনই কথা বলেন সর্ব স্তরের সাধারন মানুষ।
ঝিনাইদহ-৪ আসনটি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা, ঘোড়াশাল, ফুরসুন্ধি ও মহারাজপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মহান জাতীয় সংসদের ৮৪ নং আসন।
কিছ ুবিশেষ বৈশিষ্টের জন্য এমপি আনারকে আবারও ঝিনাইদহ -৪ আসনের সাধারন মানুষ তাকেই চাই। এলাকার ভোটারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একজন নেতা। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার এলাকায় কখনও তাকে পুলিশি প্রটোকল ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে দিন অথবা রাত যখন প্রয়োজন তখনই নির্বাচনী এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের যে কোন গ্রামে পৌঁছে যান।
কেউ ফোন করলেই দিন-রাত যে কোন সময় তিনি তার বাড়িতে পৌঁছেযান। এছাড়া তিনি কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামের পর গ্রাম চষে বেড়ান। তার নির্বাচিত এলাকার যে কোন গ্রামে মৃত্যু সংবাদ পেলেই ছুটে যান তার বাড়িতে। তাদের সাথে কথা বলেন শোকাহত পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন।
একই দিনে ১০ জন মৃত ব্যাক্তির জানাযায় অংশ গ্রহণ করারও রেকর্ড রয়েছে তার। এ পর্যন্ত তরুণ এই সাংসদ ১৫ হাজারেরও বেশি মৃত্যু মানুষের যানাজায় যোগ দিয়েছেন।
দলের সাম্ভব্য প্রার্থীর সমর্থকদের সরবহওয়ার বিষয়টি তারা জানান দিচ্ছেন গণসংযোগ , ঝিনাইদহ-৪ আসন মুলত কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা, ঘোড়শাল, ফুরসনিন্দ ও মহারাজপুর ইউনিয়ন নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে বর্তমান মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ৬২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৭৫জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪৬ জন।
কাঁদা পথে লাশ বাহি এ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে জনগণের সেবক পরিচয় দিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। শুধু তাই নয় অনেক সময় দেখাগেছে কোন গাড়ি খাদে পড়েছে এমপি আনার নিজে গাড়িটি ঠেলে উপরে উঠিয়ে দিয়েছেন। কোন গাড়ি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এমন সময় তিনি নিজে উদ্ধার কাজে লেগে গেছেন। সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরে খোঁজ খবর রাখেন তার এলাকার সাধারণ মানুষের।
ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শহরও গ্রাম ঘুরে তৃনমূল মানুষের যে মতামত পাওয়া গেছে তাতে বুঝা যায়। এমপি আনার তাদের হৃদয়ের মনি কোঠায় রয়েছেন। একাধিক ব্যাক্তি জানান, আমাদের জীবনে এমন এমপি কখনও দেখিনি যিনি এমন সাধারণ ভাবে সবার সাথে মিলে-মিশে চলেন। রাত-দিন নেই ঝড়-বৃষ্টি নেই তিনি ছুটে চলেন শহর কিংবা গ্রামে।
তার মনে নেই কোন অহংকার। যেখানেই যার সাথে দেখা হোকনা কেনো সবার পরিবাদের খোঁজ-খবর নেন মনে হয় যেনো আমাদের পরম আত্বীয়। আগের দিনে আমাদের এলাকায় অনেক মারামারি হত। কিন্তু যখন থেকে আনার এমপি হয়েছে তারপর থেকে আমাদের এলাকায় আর কোন মারামারি নেই। আমরা এখন শান্তিতে বসবাস করছি। আমরা এমন এমপির বিকল্প কোন কাউকেই ভাবতে পারিনা।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ, ত্যাগি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মি ও শহরের সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নানামুখি জনসেবা মূলক কর্মকান্ড বিগত দিনে শহর বাসীর নজর কেড়েছে। ঝিনাইদহ-৪ নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, গোরস্থান, শ্মশান, পানির সমস্যা, জলাবদ্ধতা, ঘর নির্মাণ, এতিম অসহায় শিশুদের শিক্ষা, আর্থিক অনুদান প্রদান, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, খাদ্য বিতরণ,করোনা কালিন সময়ে জীবনকেবাজি রেখে মানুষের পাশে থাকা সহযাবতীয় দায়িত্ব ভার গ্রহণ ও বিভিন্ন কার্যক্রম কালীগঞ্জ বাসির মনেজায়গা করেনিয়েছে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মি রিতি মতো আনারের কার্যক্রম নিয়ে গর্ববোধ করেন।
শুধু ঝিনাইদহ-৪ এলাকায় নয় তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকাতেও।
এ আসনে শেষ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম নির্বার্চত হন।