নিজস্ব প্রতিবেদন::বুধবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক তাঁর প্রশ্নে বলেন, সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা। একদিকে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে পোশাকের রপ্তানি কমে আসছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি এবং পর্যাপ্ত গ্যাসের অভাবে অনেক কলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ঋণখেলাপি ও মন্দ ঋণের কারণে অনেকগুলো ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে, বাজারে নিত্যপণ্যের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, অবৈধভাবে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। এসব কারণে অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকট কাটাতে সরকার কী পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ও যুদ্ধকেন্দ্রিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তার কারণে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সংকট অনুভূত হচ্ছে। এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতি, ভর্তুকি ব্যয়, লেনদেনের ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর। তবে মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের বাজার ও আমদানি পণ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখা, পোশাকের রপ্তানি, বৈদিশক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, ব্যাংক তারল্য, টাকা পাচার রোধ, গ্যাস সরবরাহ, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে।
তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর জবাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।