নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি যে দুজন জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে এটা আমাদের ব্যর্থতা। পুলিশের সঙ্গে আমাদের যে সমন্বয় থাকার কথা সেখানে কিছুটা গ্যাপ (ফাঁক) ছিল। আর এ গ্যাপের কারণেই এটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।
র্যাবের প্রধান আরও বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বিষয় নয়, আমরা মানবিক অনেক বিষয়েও কাজ করি। দেশে বর্তমানে মাদকের যে অবস্থা, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার চেষ্টা করি। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে সবসময় মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জোর দেন, জিরো টলারেন্স ঘোষণা দেন। জঙ্গি যেমন আমরা নিধন করেছি সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে, মাদকও আমরা সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নির্মূল করতে চাই আমরা।
সম্প্রতি আদালত চত্বর থেকে দুজন জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে র্যাবপ্রধান বলেন, অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এটা আমাদের ব্যর্থতা। পুলিশের সঙ্গে আমাদের যে সমন্বয় থাকার কথা, সেখানে কিছুটা গ্যাপ (ফাঁক) ছিল। ওখানে যেভাবে লোক থাকার কথা ছিল বা যেখান থেকে রওনা দিয়েছে, যাদেরকে তথ্য দেয়া দরকার ছিল সেখানে ফাঁক ছিল। একারণেই এটা হয়েছে।
র্যাবপ্রধান বলেন, কাজ করতে গিয়ে আমাদের লোকজন জীবন দিচ্ছেন না তাও তো নয়। কিছুদিন আগে কক্সবাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমাদের সিনিয়র একজন ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত হলেন। মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখে সবসময় র্যাব দায়িত্ব পালন করবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের দর্পন, আপনাদের তথ্যের ভিত্তিতেও আমরা অনেক সময় অভিযান পরিচালনা করি। সমালোচনা করবেন, কোথাও ত্রুটি থাকলে আপনারা তুলে ধরবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সমালোচনায় বিশ্বাস করি। আমি যদি ভুল করি অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন। ভুল তাদেরই হয়, যারা কাজ করে।
গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। তারা হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।
ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া আরও কয়েকটি হত্যা মামলারও আসামি তারা।