মো.নজরুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় দুটি ঘটনায় সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, প্রতারণার শিকার আপেল মাহমুদ নামের একজন চাল ব্যবসায়ির সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতারক রুবেল শেখ এবং জুয়েল আকন্দের পরিচয় হয়। এরপর গত শুক্রবার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আপেল মাহমুদকে তারা গোবিন্দগঞ্জে ডেকে নিয়ে আসে।
সেখানে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে আটকে রেখে তার নগ্ন ছবি ও অশ্লীল ভিডিও তৈরি করার হুমকি দিয়ে নগদ তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ভিকটিমের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেয়া হয়। পরিবারের লেকাজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবাসিক হেটেল থেকে ভিকটিম আপেল মাহমুদকে উদ্ধার করে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
অপর একটি ঘটনায় আসামী মেহনাজ আক্তার সাথী ইমোর মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে ভিকটিম জহুরুল ইসলামের সাথে। শুক্রবার ভিকটিম জহুরুল ইসলামকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে নিয়ে এসে কৌশলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে মেহনাজ আক্তার সাথী ও তার স্বামী আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং তার সহযোগী আসামী মো. ফাহিম ভিকটিমকে জিম্মি করে ঘরের ভিতর আটকে রেখে এলোপাথারি মারপিট চালায় এবং তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এরপর ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫ শ’ত টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ভিকটিম আসামীদের টাকা দাবির বিষয়টি মোবাইল ফোনে পরিবারের লোকজনদের জানালে তারা পুলিশের শরণাপন্ন হন।
পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই ভাড়া বাসা থেকে আসামীদের হেফাজতে থাকা ভিকটিম মো. জহুরুল ইসলামকে উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতার করেন।