নিজস্ব প্রতিবেদন: সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালুর দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। অনির্দিষ্টকালের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে গতকাল দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বন্ধ ছিল ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রম। বন্ধ ছিল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, প্রশাসনিক ভবন ও অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত-উপাদানকল্প ১৯৮ কলেজের শিক্ষার্থী ও সেবাপ্রার্থীরাও। এ দিন কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে। তিনি বলেন, সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মবিরতি পালন করেছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও। গতকাল সকাল ৯টায় ঢাবি প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথে জড়ো হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন। এরপর তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন প্রশাসনিক ভবনের সামনে। সংগঠনের আহ্বায়ক ও ঢাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোতালেব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ১৯৭৩ সালের আদেশে চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পেনশন কাঠামো রয়েছে। আমাদের ওপর এ পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। অবিলম্বে এই পেনশন স্কিম প্রত্যাহার করতে হবে।
ববির কর্মসূচিতে দুপক্ষের মারামারি : সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিকে কর্মসূচি পালনকালে কর্মকর্তাদের বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারিও হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ববি প্রশাসন।
ভোগান্তিতে বেরোবি শিক্ষার্থীরা : শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা।