শামীম রেজা ডাফরুল, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গত ৪দিনে পৃথক ঘটনায় স্কুল ছাত্রীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুকুরের পানিতে পড়ে ১ প্রতিবন্ধী কিশোর, ট্রাক ও প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে চালকসহ ২ জন, ভটভটির ধাক্কায় ১ গরু ব্যবসায়ী, ট্রাক ও মোটরসাইকেল দূঘর্টনায় ৩জন এবং গলায় ফাঁস দিয়ে ১ স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের কুকরাইল গ্রামের আবু মুছা মন্ডলের প্রতিবন্ধী ছেলে নূরুন্নবীকে (১৩) শনিবার দুপুরের পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ীর লোকজন খোঁজখুঁজির এক পর্যায়ে বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে বাড়ীর উত্তর পাশ্বে একটি পুকুরে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় নূরুন্নবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। রাজাহার ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসালাম মন্ডল নূরুন্নবীর মৃত্যূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ- দিনাজপুর সড়কে ট্রাকচাপায় ২ ভাইসহ মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলো- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাছিরাবাদ (বগুড়া পাড়া) গ্রামের আছালত শেখের ছেলে নাহিদ শেখ (৩০) ও জাহিদ শেখ (১৬) এবং নাছিরাবাদ (পূর্বপাড়া) গ্রামের গুলান শেখের ছেলে শাকিল শেখ (২০)। গত বৃহস্পতিবার রানীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত গোবিন্দগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী তছকীন উদ্দীন (৬৫) বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মারা যায়।
গত শুক্রবার সকালে গোবিন্দগঞ্জের ২ ব্যক্তি প্রাইভেট কার চালিয়ে রাজশাহী থেকে গোবিন্দগঞ্জের উদ্দেশ্যে আসছিল। পথিমধ্যে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের খড়না ইউনিয়নের টেংগামাগুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি দ্রæতগামী ট্রাকের সাথে প্রাইভেট কারটির সংঘর্ষ হলে কারটি রাস্তার পার্শ্বে ছিটকে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হয়।
এতে প্রাইভেট কারে থাকা গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (৩৭) ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং অপর ব্যক্তি একই গ্রামের মৃত শামছ উদ্দিনের ছেলে ড্রাইভার আশরাফুল ইসলাম (৩৬) গুরুতর আহত হয়। পরে আহত আশরাফুলকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।
অপর দিকে, এছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা সোনারপাড়া (দেওয়ানের বাড়ী) গ্রামের বুলু মিয়ার ৮ম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৪) গতকাল সকালে বাড়ির সকলের অজান্তে ঘরের বাঁশের আরার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এলাকার লোকজন জানায়, শারমিনের সাথে এক ছেলের দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। কিন্তু ওই মেয়ের পারিবারিক অবস্থা অসচ্ছল হওয়ায় ছেলের পরিবার ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে করায়। এ কথা জানার পর মনের ক্ষোভে শারমিন আত্মহত্যা করে। শিবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার রোকন আকন্দ শারমিনের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।