মো.নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধাজেলা প্রতিনিধি:গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের পানি শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটাসহ ৪টি উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পানি কমতে থাকায় বানভাসি নদী তীরবর্তী এলাকার বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে বন্যা কবলিত প্রায় ৪২ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখনও কমেনি।
এখনও বিপৎসীমার উপরে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদরের মোল্লারচর, কামারজানি, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি এলাকার পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষজন শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
প্রকট আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও দেখা দিয়েছে কয়েকটি এলাকায়। লোকজন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে।
এবারের বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, কাউন ও আমন বীজতলাসহ ২ হাজার ৫০০ হেক্টরের অধিক জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। পানি ওঠায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি ওঠায় ১৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি দাখিল মাদরাসাসহ মোট ১৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান এখনও বন্ধ রয়েছে।
চলমান বন্যায় ৪টি উপজেলায় ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা ও শাক-সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার নিচে যাবে। অন্যান্য নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।